অভিনেতা ঋদ্ধি সেন বরাবরই তাঁর বাবা কৌশিক সেনের মতোই স্পষ্ট বক্তা। অভিনেতার পাশাপাশি কোনও বিষয় নিয়ে তাঁর কী ভাবনা, কী ভাবছেন সেটা খোলাখুলি জানিয়ে দিতেই পছন্দ করেন। এই তো কদিন আগেই তিনি নো অ্যাক্টিং স্কিল নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তারিফ করেছিলেন দেব এবং জিতের। এবার তিনি আবারও অভিনেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন।
সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোতে এসে ঋদ্ধি অভিনয় এবং রাজনীতি, এবং যে অভিনেতারা দুমদাম রাজনীতিতে যুক্ত হন তাঁদের নিয়ে কথা বললেন। এদিন ঋদ্ধি তাঁর বক্তব্যে সাফ সাফ বলেন, 'গোটা পেশাটাই এখন গুলিয়ে গিয়েছে। অভিনেতারা আজকাল অভিনয় ছাড়া বাকি সব কিছুর জন্য পরিচিত। কেউ রাজনীতি করে বিখ্যাত হচ্ছেন, কেউ ইনস্টাগ্রামে রিলস বানিয়ে তো কেউ সমাজসেবা করে। এটা করে না আর কিছুই নয় আমরা প্রত্যেকটা পেশাকে অসম্মান করছি। এভাবে দু নৌকোয় পা দিয়ে চলা যায় না।'
তিনি সোজাসুজি সেই অভিনেতাদের আক্রমণ শানান যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কৌশিক পুত্র বলেন, 'রাজনীতি একটা ফুল টাইম পেশা। সেখানে পার্ট টাইম বলে কিছু হয় না। তেমনই যাঁরা অভিনয়কে পার্ট টাইম পেশা ভাবেন তাঁদের ভাবনা নিয়েও আমার আপত্তি আছে। হ্যাঁ, এটা ঠিক আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে মূলত পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়িয়ে কেবল অভিনয় বা থিয়েটার করে বেঁচে থাকাটা কঠিন। কিন্তু এখন কী হচ্ছে বলুন তো আমাদের অনেকেরই পরিচিতিটাই গুলিয়ে যাচ্ছে।'
আরও পড়ুন: 'বাঙালিয়ানার অভাব স্পষ্ট', কলকাতাবাসীর বাংলা গানেই অরুচি! রূপঙ্কর-ঋদ্ধিরা কী বলছেন?
ঋদ্ধি আরও বলেন, 'অনেকে গাছে জল দেওয়ার মতো রাজনীতিটাকে হবি বানিয়ে ফেলেছেন। যেদিন মনে হল একটা পুরসভা বা একটা কনস্টিটুয়েন্সি ঘুরে এলেন। এঁদের কোনও আদর্শগত জায়গা নেই। আদর্শ-ফাদর্শ যায় আসে না এঁদের কাছে, সেই জন্য ফাদর্শ বললাম। আর ভোট তো এখন চৈত্র সেল। যে ভালো অফার দেবে তার কাছে চলে যাবে।'
পরিশেষে অভিনেতা হিসেবে ঋদ্ধি সকলের কাছে শেষ একটা প্রশ্ন রাখেন, 'আমরা কেন বিখ্যাত হচ্ছি? অভিনয়ের জন্য নাকি অন্য কিছু? কোনটা আমার পরিচিতি এটা ভাবা উচিত।'