‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’র দৌলতে আলিয়া এখন 'বাঙালি কন্যে'। আর রণবীর সিং পঞ্জাবি ‘মুন্ডা’। শিক্ষিত, রুচিশীল, শিল্প, সংস্কৃতিমনস্ক বাঙালির মেয়ে পঞ্জাবি যুবকের প্রেমে পড়লে দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব তো বাঁধবেই। ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’র ট্রেলার জুড়ে পঞ্জাবি রণবীরকে নিয়ে কিছু কম মশকরা করেনি আলিয়ার বাঙালি পরিবার। তবে তাঁর জন্য রণবীরের কাণ্ডকারখানাও কিছু কম দায়ী নয়।
ট্রেলারে দেখা গেল পঞ্জাবি ‘রকি রণধাওয়ার’ রণবীরের প্রেমে পড়েছেন বাঙালি 'রানি' আলিয়া। ট্রেলারের শুরু দিকে রকি রানিকে বলেন, ‘তোর মনে হয় তুই একাই শিক্ষিত, আমাকে মূর্খ ভাবিস! এটাই সমস্যা। আজ তুই আমায় কিছু প্রশ্ন করেই দেখ ঠিক উত্তর দিতে পারি কিনা, গুগলকেও হারিয়ে যদি না দিয়েছি আমার নাম রকি রণধাওয়া নয়।’ আর এরপরই আলিয়া তাঁকে জিজ্ঞাসা করে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল দেশের কোনদিকে অবস্থিত?’ সোজা উত্তর ভেবে রণবীরের জবাব, 'ওয়েস্ট মে' (পশ্চিমে)। হতাশ আলিয়া বলেন, এটা আসলে ইস্টে (পূর্বে) রয়েছে। শুরুতেই বাঙালি রানির কাছে ১০ গোল খেয়েছেন পঞ্জাবি রকি।
এরপরে একসঙ্গে থাকার প্রস্তুতি নিতে একে অপরের বাড়ি অদলবদল করে তিনমাস একে অন্যের পরিবারের সঙ্গে থাকার চুক্তিবদ্ধ হন ‘রকি’ আর ‘রানি’। আলিয়ার বাড়িতে এসে প্রথমেই গন্ডোগোল পাকান রকি। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার পরিবর্তে পঞ্জাবি স্টাইলে রানির পরিবারের সকলকে জড়িয়ে ধরে সম্মান দেখাতে যান। আর তাতে বেশ বিরক্ত হন রানির বাড়ির লোকজন। আর তারপরই আরও বড় গন্ডোগোল। বৈঠকখানায় রাখা রবীন্দ্রনাথের ছবি দেখে হাতজোড় করে 'দাদাজি দাদাজি' বলে এগিয়ে যান রণবীর ‘রকি’। এত বড় মূর্খতা দেখে বেজায় চটে যান আলিয়ার বাবা টোটা রায় চৌধুরী। রেগে গিয়ে বলেন, ইনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অপ্রস্তুত রকি সামাল দেওয়ার জন্য বলেন, ‘আসলে আমি জানি…’।
আরও পড়ুন-বাঙালি আলিয়া আর পঞ্জাবি রণবীরের প্রেমের ‘খেলা হবে’! করণের ছবির ট্রেলার জমজমাট
এরপর চায়ের টেবিলে বসে আরেক কাণ্ড। আলোচনা চলছিল ভোটদান ও ভোটদানের অধিকার নিয়ে। রণবীর বলে বসেন, আমি তো ভোট দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছি। কী হবে ও তো আর শমিতা তো নেই। আজব উত্তরে আলিয়ার মা চূর্ণী অবাক হয়ে প্রশ্ন করে 'শমিতা' এটা কে! রকি হয়ত কোনও প্রার্থীর নাম বলছেন, এমনটা ভেবে টোটা প্রশ্ন করেন কোন নির্বাচনী এলাকা থেকে? রকি উত্তর দেন 'বিগ বস'। এমন উত্তর শুনে হাত থেকে চামচটাই পড়ে যায় টোটার। রকি তাই এই পরীক্ষায় পুরোটাই ফেল। রকির কাণ্ডকারখানায় হতাশ চূর্ণী মেয়ে রানিকে ফোন করে বলেন, 'না আছে ক্লাস, না আছে শিক্ষা, তুমি এই ছেলের সঙ্গে বিয়ের কথা ভাবছো কী করে!' বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু চর্চিত ট্যাগ লাইন ধার করে আলিয়াকে একজায়গায় বলতে শোনা যায়, ‘খেলা হবে’।
শেষের দিকে রকি আলিয়ার মাকে 'লন্ড্রি'র জামা-কাপড় কাচার কথা প্রশ্ন করেন। চূর্ণী সোজাসাপটা বলেন, ঘরে গিয়ে জামাকাপড় চেঞ্জ করো, আমি আসছি। তাঁর এমন কথায়, উল্টো কথাই বুঝে বসেন অশিক্ষিত 'রকি'। যা বুঝতে পেরে আঁতকে ওঠেন চূর্নী। গোটা ট্রেলার জুড়েই দেখা যায় বাঙালি বাড়িতে থাকতে গিয়ে ঠাট্টার পাত্র হয়ে বসেন পঞ্জাবি রকি।