বিজয়া দশমী মিটতেই নতুন প্রেমে সিলমোহর দিয়েছেন অভিনেতা রাহুল বসু। ‘আলোর ঠিকানা’ কো-স্টার দেবাদৃতার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন তিনি। জানিয়েছেন তাঁদের সম্পর্কের বয়স ৮ মাস। বছর তিন আগে পুজোর মরসুমেই রুশার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি দিয়ে প্রেমের সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু বেশিদিন টেকেনি সেই প্রেম। আলাদা হয়েছে দুজনের পথ। ‘তোমায় আমায় মিলে’র রুশা এখন আতলান্তিক পারে সংসার পেতেছে।
চলতি বছরের গোড়াতেই সামাজিক রীতিনীতি মেনে বাবা-মা'র দেখা পাত্রকে বিয়ে করেন রুশা। আইনি বিয়েটা অবশ্য গত বছর জুনেই সেরে ফেলেছিলেন রুশা-অনুরণ। হ্যাঁ, রুশার বরের নামে অনুরণ রায়চৌধুরী। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, মাইক্রোসফটে চাকরি করেন। সেই সূত্রেই সিয়াটেলে থাকেন অনুরণ।
রাহুল-দেবাদৃতার প্রেমের খবর এখন টেলিপাড়ার হট টপিক। সেই আলোচনার মাঝেই বরের সঙ্গে রোম্যান্টিক ছবি পোস্ট করে সম্পর্কের গভীরতা বোঝালেন রুশা। বিয়ের পর প্রথম পুজো কলকাতা থেকে সাত সমুদ্র পারে আমেরিকাতেই কেটেছে রুশার। শারদীয়ার আনন্দে মাতোয়রা টুকটুকে লাল শাড়িতে সেজেছেন। পাশে দাঁড়িয়ে অনুরণ। বউয়ের উপর থেকে চোখ সরছে না তাঁর। পরনে ধূসর-সাদা পাঞ্জাবি।
এই ছবির সঙ্গে নিজের বাবা-মা'র একটি ছবি কোলাজ করে পোস্ট করেন রুশা। বলা যায় দুটি ‘মিরর ইমেজ’। রুশার বাবা-মা'কেও একই পোজে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস রায়চৌধুরী আর মিস্টার অ্যান্ড মিসেস চ্য়াটার্জি, একইরকম ভাইব। বাবা-মা’র মতোই আমরা ভালোবাসায় বেড়ে উঠছি'।
এবার পুজো কলকাতার বাইরে কাটলেও তিলোত্তমাকে ভীষণ মিস করেছেন রুশা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মনের কথা জানিয়ে লিখেছিলেন, 'দুর্গাপুজো একটা ইমশোন, যার ভিন্ন অর্থ রয়েছে। পরিবার থেকে অনেক দূরে, নতুন পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করছি। কিন্তু সেই ভিড়, লাউডস্পিকারের আওয়াজ, রাতভর জেগে আড্ডা, আর সবচেয়ে জরুরি খাবারটা মিস করছি। সকলকে জানাই দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা।
বিয়ের পর নিজের দাম্পত্য জীবনের টুকরো ঝলক মাঝেমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায় তুলে ধরেন রুশা। বরের হাত ধরে চষে বেড়াচ্ছেন মার্কিন মুলুক। কখনও নিউ ইয়র্ক তো কখনও লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। রুশার দাম্পত্য এখন অনুরণের ভালোবাসার রঙে রঙিন। বিয়ের পর ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন করেছেন রুশা। গত ১৯শে জানুয়ারি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অনুরণের সঙ্গে ধুমধাম করে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন রুশা।