বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > অভাবে পড়ে ওয়েটারের কাজ করেছেন মুম্বইয়ের এই বাঙালি নায়িকা! শুনুন জীবনের লড়াই

অভাবে পড়ে ওয়েটারের কাজ করেছেন মুম্বইয়ের এই বাঙালি নায়িকা! শুনুন জীবনের লড়াই

অর্থাভাবে ওয়েটারের কাজও করেছেন রূপালী গঙ্গোপাধ্যায়। 

বাবা-পরিচালক অনিল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন অভিনয়ের উৎসাহ। তবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক বাবার মেয়ে হয়েও রূপালীকে কাজ করতে হয়েছিল ওয়েটারের। 

হিন্দি ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখ রূপালী গঙ্গোপাধ্যায়। বর্তমানে ‘অনুুপমা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী কথা বললেন প্রয়াত পিতা অনিল গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যাপারে। কীভাবে অনিলের দুটো ছবি ফ্লপ করতেই তাঁকে রেস্তোরাঁয় কাজ করতে হয়েছিল। সঙ্গে ক্যাটারিংয়ের কাজও করতেন তিনি।

একাধিক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি উপহার দিয়েছেন অনিল দর্শকদের, জয়া ভাদুরির ‘কোরা কাগজ’ (১৯৭৪), রাখিকে নিয়ে তপস্যা (১৯৭৫)। ‘প্যায়ার কা কাবিল’, ‘সড়ক ছাপ’, ‘দুশমন দেবতা’, ‘আঙ্গারা’-র মতো একাধিক ছবি বানিয়েছেন।

Humans Of Bombay-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রূপালী জানালেন, ‘বাবা ছিল জাতীয় পুরস্কার-প্রাপ্ত অভিনেতা আর আমার হিরো। যখন ওর ছবি বের হত, লোক প্রশংসা করত রাজেশ খান্নার মতো অভিনেতাদের। কিন্তু আমি বলতে চাই বাবাই আসল হিরো। স্কুলের পরে বাবার সেটে যেতাম। মন দিয়ে দেখতাম কীভাবে বাবা এক-একটা ফ্রেম যত্ন করে বানাচ্ছে। আমি মুগ্ধ হতাম। এসবের মাঝে কবে যে নিজেই নায়িকা হয়ে গেলাম বুঝতেই পারিনি। এক অভিনেত্রী ছবি থেকে সরে দাঁড়ালেন। বাবা আমাকে শেষ মুহূর্তে সেই জায়গায় ঢুকিয়ে দিলেন। এভাবে মাত্র ১২ বছর বয়সে আমার মধ্যে অভিনয়ের পোকা ঢুকে গেল।’

সঙ্গে জানালেন, ‘এর পর-পরই বাবার দুটো ছবি ফ্লপ করে। আমাদের কঠিন সময় শুরু হয়। আর আমার স্বপ্নও পিছনে হাঁটা শুরু করে। আমি এরপর অনেক কাজ করেছি-- বুটিকে কাজ করেছি, ক্যাটারিং করেছি, ওয়েটারের কাজও করেছি। একটা পার্টিতে আমি ওয়েটার ছিলাম আর বাবা চিফ গেস্ট। আমি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছি। সেই সময়েই আলাপ হয় আমার বরের সঙ্গে, অশ্বিন। ওই আমাকে পরামর্শ দেয় টিভি-র। আমিও ভাবি ট্রাই করে দেখা যেতেই পারে। ‘সুকন্যা’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাজ পাই। বাবার বলা একটা কথা আমি মাথায় রাখতাম সবসময়। বলেছিলেন, ‘তুমি কখনও কাঁদবে না, লোককে কাঁদাবে’। আমাকে এগিয়ে যেতে বাবার অবদান অনস্বীকার্য।’

বন্ধ করুন