রূপম ইসলাম বরাবরই স্পষ্টবক্তা। তিনি যা ভাবেন সেটাই খোলাখুলি ভাবে বলে দেন। সেই কথা নিয়ে কখনও বিতর্ক উসকে যায়। কখনও আবার সমর্থন পান। এদিনও তিনি তেমন ভাবেই একাধিক বিষয় নিয়ে নিজের মতামত জানালেন আনন্দবাজারকে। বাদ দিলেন না বাংলা রক থেকে শুরু করে কবীর সুমন, সোনম ওয়াংচুক প্রমুখকে নিয়ে কথা বলতে।
বাংলা রক এবং বাংলা ছবির গান নিয়ে কী বললেন এদিন তিনি?
বাংলা রক সঙ্গীতের পথপ্রদর্শক তিনি। অনেকেই তাঁকে রকস্টার বলে থাকেন। কিন্তু রূপম নিজের সেটা মানেন না। তিনি এদিন এই সাক্ষাৎকারে বলেন, 'স্টার মানে তারা, অর্থাৎ যে দূরে থাকে। আর রক হল পাথর, পাথর চাপা কপাল না হলে কেউ রক সঙ্গীতে আসে না। রক গানের সঙ্গে তারকা শব্দটা যায় না। তাই আমি নিজেকে রকস্টার বলি না। বলি রকার। মানে রক শ্রমিক।'
আরও পড়ুন: সাবান লাগানো অতীত, প্রচারে বেরিয়ে ভোটারের রান্নাঘরে হানা হিরণের! খুন্তি নেড়ে কোন কোন পদ রাঁধলেন?
আরও পড়ুন: 'শেষের দিকে যত যাবে...' দর্শকদের উন্মাদনা আসলে সেক্সের মতো! ফের বেফাঁস মন্তব্য রূপমের
রূপম ইসলাম একাধিক বাংলা ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। তাঁর ব্যান্ডের পাশাপাশি, সিনেমার গানও সমান ভাবে হিট। কিন্তু বাংলা ছবির গান নিয়ে কি তিনি অখুশি? খোলসা না করলেও এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, 'দুঃখজনক, আমি বাংলা ছবির গানকে অন্য পথে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। সেই পথটা ছিল প্রগতিশীল, অলটারনেটিভ, একেবারে নতুন পথ। কিন্তু সেটা আমার ব্যর্থতা সঙ্গীত নির্মাতা হিসেবে, যে আমি সেটা পারিনি।'
নীল রং প্রসঙ্গে কী জানালেন?
রূপম ইসলামের গানে বারেবারে প্রেমের ব্যর্থতা, দুঃখ এবং নীল রং ফিরে এসেছে। এই রঙের তাৎপর্য বোঝাতে তিনি জানান নীল রং হল দুঃখ এবং একই সঙ্গে স্বাধীনতার রং। গায়কের কথায়, 'দুঃখের রং নীল। আবার নীল হল স্বাধীনতার রং কারণ আকাশের রং হল নীল। তাই আমি মনে করি দুঃখ খুব জরুরি। দুঃখ থেকেই আসে স্বাধীনতা।'
সোনম ওয়াংচুক প্রসঙ্গে
কিছুদিন আগেই রূপম এককে সোনম ওয়াংচুককে সমর্থন করেছিলেন রূপম। বাস্তবের র্যাঞ্চোর সমর্থনে গলা ফাটিয়েছিলেন। কিন্তু কেন তাঁর এই সমর্থন? এই বিষয়ে রূপম জানান, 'পরিবেশ নিয়ে আনন্দোলন, ভারসাম্য নিয়ে আন্দোলন জরুরি। একটা নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে আন্দোলন হলেও এটা জরুরি। স্নোবল এফেক্টে নইলে এটা এক সময় গোটা বিশ্বের উপর প্রভাব ফেলবে।'
কবীর সুমন প্রসঙ্গে রূপম
এদিন রূপম সাফ সাফ জানিয়ে দেন আধুনিক বাংলা গানের ইশ্বর বলে তিনি কবীর সুমনকেই মানেন।