তারকাদের মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়ানো নতুন কিছু নয়। এর আগেও এমনটা হয়েছে অমিতাভ বচ্চন থেকে রজনীকান্তের মতো তারকাদের সঙ্গে। তবে নাম গুলিয়ে ফেলাটা একটু অভিনব। দিনকয়েক আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি দেন সাজিদ খান। যদিও এই সাজিদ, হাউজফুলের পরিচালক নন, বরং খ্যাতি পেয়েছিলেন মাদার ইন্ডিয়া থেকে।
মেহবুব খানের মাদার ইন্ডিয়া ছবিতে সুনীল দত্তের ছোটবেলার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল এই সাজিদকে। এরপর মায়া, দ্য সিঙ্গিং ফিলিপিনা ছবির মাধ্যমেও খ্যাতি পান তিনি। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ক্যানসারে।
ফিলিপিনে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন প্রয়াত সাজিদ খান। সেখানকার একাধিক ছবি যেমন দ্য সিঙ্গিং ফিলিপিনা, মাই ফানি গার্ল, দ্য প্রিন্স ইত্যাদি ছবিতে কাজ করেছিলেন।
সে যাই হোক, এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমস্যা আসে কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক-প্রযোজক ফারহা খানের ভাই সাজিদ খানের জীবনে। একাধিক মানুষ ম্যাসেজ আর ফোন করে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন, তিনি আদৌ বেঁচে আছেন কি না!
আর তারপরই একটি ভিডিয়ো বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিলেন সাজিদ। তাতে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘মাদার ইন্ডিয়া ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৭ সালে। আর সেই সিনেমায় সুনীল দত্তের বাচ্চা বয়সে যে শিশু অভিনেতা কাজ করে তাঁর জন্ম ১৯৫১ সালে। এর ২০ বছর পর আমার জন্ম হয়। উনি প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় মিডিয়ার কিছু লোক সেই খবরে আমার ছবি ব্যবহার করেছেন।’
‘আমি মিডিয়ার সকলকে, আমার জন্য যারা চিন্তিত তাঁদের জন্য, বা দুনিয়ার যে প্রান্ত থেকেই মানুষ আমাদের দেখছেন, তাঁদের উদ্দেশে হাত জোড় করে প্রার্থনা করে বলতে চাই, আমি বেঁচে আছি। আর যেই সাজিদ খান মারা গিয়েছেন, তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
হে বেবি, হাউজফুল, হাউজফুল ২, হিম্মতওয়ালা-র মতো একাধিক ছবি বানিয়েছেন। বিগ বস ১৬-র সবচেয়ে চর্চিত প্রতিযোগী ছিলেন সাজিদ খান। যদিও মাঝের কয়েকটা বছর বেশ কষ্টেই কাটিয়েছেন ফারহা খানের ভাই। মি টু কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকে একেবারে একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন পরিচালক। বলিউড থেকে নয় জন মহিলা যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন সাজিদের উপর। IFTDA থেকে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছিল। রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাউজফুল ৪ থেকে।