সলমনের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় মঙ্গলবার দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভিকি গুপ্তা (২৪) এবং সাগর পাল (২১), উভয়ই বিহারের বাসিন্দা। তাঁরাই রবিবার ভোরে বাইকে বসে গুলি চালায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের উপরে। এই ঘটনার পরই পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার গভীর রাতে গুজরাটের কচ্ছ জেলার মাতা নো মাধ গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার নিয়ে আসা হয় মুম্বইতেই। আর মঙ্গলবার রাতেই দুই অভিযুক্তকে তোলা হল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
পুলিশের মতে, ঘটনার সময় ভিকি গুপ্তা মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং বাইকের পিছনে থাকা সাগর পাল অভিনেতার বাড়ির উপরে গুলি চালিয়েছিলেন।
আদালতের কাছে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চায় পুলিশ, ষড়যন্ত্র উদঘাটন করতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ঘটনার পিছনের মূল পরিকল্পনাকারীকে সনাক্ত করতে কড়া পদক্ষেপ পুলিশের। অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এলএস পাদেন দুই অভিযুক্তকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন। আদালতে জমা দেওয়া রিমান্ড নোটে অপরাধ শাখা বলেছে যে, দুজনেই সলমনের বাসভবনের বাইরে তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়েছিল।
নোটে আরও বলা হয়েছে যে, পুলিশ এখনও ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সম্পর্কেও তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: বিজেপি নেত্রী, কিঁউ কি-র স্মৃতি ইরানি ‘মিথ্যে’ বলছে, দাবি একতার! কী নিয়ে ঝামেলা
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর একজন ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে এর দায় স্বীকার করে। তদন্ত অনুসারে, এই অ্যাকাউন্টটি একটি বিদেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছিল।
‘গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তদের আরও তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন’, নোটে বলা হয়েছে। সোমবার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে, এফবি পোস্টের আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) ঠিকানাটি পর্তুগালের। এবং পুলিশ এটি যাচাই করছে। অভিযুক্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং ৩৪ (একটি সাধারণ অভিপ্রায়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একাধিক ব্যক্তি দ্বারা করা কাজ) এবং অস্ত্র আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘শারীরিক সম্পর্কের সুখ’ আগেই ছেড়েছেন! বৈশাখীর দাবি, ‘শোভনই আমায় সভ্য করেছে…’
রবিবার ভোর ৫টার দিকে, মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকায় ৫৮ বছর বয়সী সলমন খানের বাড়ির বাইরে দুই মোটরসাইকেল চালক গুলি চালায় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অভিনেতার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে মাউন্ট মেরি চার্চের কাছে মোটরসাইকেলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, পুলিশ জানিয়েছে। গ্যালাক্সি অ্যাপার্টেমন্টে পৌঁছেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তিনি ভাইজানকে বলেন, ‘আমি সলমনকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার কথা বলেছি, সরকার ওঁর পাশে রয়েছে।’
এছাড়াও সলমন ও তাঁর বাবা সেলিমের সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকি, বিধায়ক জিশান সিদ্দিকি এবং যুব সেনার রাহুল কানাল সহ আরও অনেকেই।