শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে কতই না আলোচনা। আইনি মতে এখনও তাঁরা এক হননি, তবে সেই কবেই দুর্গামায়ের সামনে বৈশাখীর সিঁথি সিঁদুরে ভরে দিয়েছেন শোভন। রাজনীতি থেকে এখন অনেকটাই দূরে শোভন। কিছু জটিলতার কারণে অধ্যাপিকা হিসেবে কাজ করেন না বৈশাখীও। তবে তাঁদের দুজনের জীবন ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয় আছে একে-অপরের সঙ্গে।
এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখীকে বলতে শোনা গেল, বাংলা বছরের প্রথম দিনে নতুন জামা পরে হালখাতা করতে যাওয়া বড়ই ভালো লাগত তাঁর। এখন যদিও তা অনেকখানিই কমে আসছে। নিউজ নাউকে বৈশাখী জানালেন, তিনি এমন হালখাতা করতেন যে, দেখে ভিড়মি খাওয়ার মতো অবস্থা হত শোভনের।
আরও পড়ুন: কেঁদে KBC-তে না ফেরার কথা জানান অমিতাভ! এখন চোখ মুছে বিগ বি দিলেন খুশির খবর
‘একটা মিষ্টির বক্স, একটা ক্যালেন্ডার। আমার তো খুব এক্সাইটেড লাগত এটা ভেবে যে, ক্যালেন্ডার খুললে কীসের ছবি পাব! বেলা ১১টার সময় বেরোতাম। শোভন বলত, এত রোদে এত সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছ। প্রথমবার মেয়েকে নিয়ে গেছিলাম। তারপরের বার ও আমাকে ত্যায্য করে দিল। শোভন তো চিনতেই পারে না ওই সময়। এখন আর করতে যাওয়া হয় না। ভাবি বের হলে, শোভন আর মেয়ে বাড়িতে একা থেকে যাবে।’, বলতে শোনা গেল বৈশাখীকে।
আরও পড়ুন: হাসি ভরা মুখে, হাতে ভর্তি শপিং ব্যাগ, হানিমুনে অনুপম-পত্নী প্রশ্মিতা? গেলেন কোথা
একইসঙ্গে জানালেন, ‘আমি একবার গাড়ির ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম। সে একবার আমাকে বলছে, ম্যাডাম আপনার গাড়ির পিছনের সিটে আর জায়গা নেই। আমি আগে হালখাতা নিয়ে অবসেসড ছিলাম। শোভন আমাকে অনেক সভ্য করেছে। অসভ্যের মতো সারাদিন ঘেমেনেয়ে হালখাতা করতাম। এখন হয়তো কোনও বড় প্রতিষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যাই বিশেষ অতিথি হয়ে। কিন্তু খুব মিস করি দিনগুলো।’
আরও পড়ুন: বুবলী-অপুর ঝামেলায় ‘ক্লান্ত’ শাকিব? ছেলে জয়কে দেশছাড়া করার সিদ্ধান্ত, কোথায় পাঠানো হচ্ছে
শোভন আর বৈশাখীর সম্পর্ককে নিয়ে যেমন কটাক্ষ হয়, তেমনই অনেকে পছন্দ করেন, যেভাবে তাঁরা নিজের শর্তে বাঁচছেন। জীবনের অর্ধেক রাস্তা পেরিয়ে এসেই দুজনে পেয়েছেন জীবনে নতুন করে ভালোবাসা। এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমি আর শোভনের কেউই নিজেদের যৌবনে নেই। এই বয়সে এই সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তার পিছনে প্রগাঢ় ভালোবাসা থাকতে হবে। ভালোবাসাটাই থাকতে হবে, কারণ শারীরক সম্পর্কের সুখ তা অনেক আগেই পিছনে ছেড়ে এসেছি।’