অসুস্থতা সত্ত্বেও ‘শকুন্তলা’ হয়ে ওঠতে কোনও খামতি রাখেননি সামান্থা। কালিদাসের শকুন্তলা সাজতে গিয়ে ৩০ কেজির লেহেঙ্গা পরেছেন, খরগোশের কামড় পর্যন্ত সহ্য করেছেন। তবুও দর্শকদের মন ভরেনি। নায়িকার সাম্প্রতিক রিলিজ ‘শকুন্তলম’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ১০ কোটি টাকাও উপার্জন করতে পারেনি এই ছবি। এই ব্যর্থতার জেরে সামান্থার দিকে ধেয়ে এসেছে কটূক্তি। দক্ষিণী প্রযোজক চিট্টিবাবু তো সরাসরি বলে বসেন, ‘দ্য ফ্য়ামিলি ম্যান’ নায়িকার কেরিয়ার শেষ। এবার ইনস্টাগ্রামের পাতায় প্রযোজককে মোক্ষম জবাব দিলেন সামান্থা, নায়িকার সাম্প্রতিক পোস্ট দেখে সকলের ধারণা চিট্টিবাবুকে উদ্দেশ্য করেই এই পোস্ট সামান্থার।
ঠিক কী লিখেছেন সামান্থা?
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি গুগল সার্চের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন অভিনেত্রী। সেখানে সার্চ ইঞ্জিন গুগলকে সামান্থার প্রশ্ন, ‘কারও কানে এত চুল কী কারণে গজায়?’ যার জবাবে গুগল জানায়, ‘টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কানের ভিতরে ও বাইরে চুল গজায়।’ দক্ষিণী প্রযোজক চিট্টিবাবুর ছবি আপনার সামনে ভেসে উঠবে এই স্টোরি দেখলে। কারণ প্রযোজকের মাথায় চুল নেই, তবে দুই কানে চুলের কমতি নেই। সুতরাং নাম না করে প্রযোজকেই একহাত নিলেন সামান্থা তা বেশ স্পষ্ট।
সামান্থাকে চিট্টিবাবুর কটাক্ষ
এক সাক্ষাৎকারে চিট্টিবাবু বলেন, ‘হিরোইন হিসাবে সামান্থার কেরিয়ার শেষ। আর স্টারডম ফিরে পাবে না ও। এবার যা অফার পাবে সেই ধরণের চরিত্রে ওর মন দেওয়া উচিত’। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘সমবেদনা কুড়ানোর চেষ্টা করছে সামান্থা’। ‘যশোদা’র পর ‘শকুন্তলম’-এর প্রচারেও কান্নাকাটি করতে দেখা গিয়েছিল সামান্থাকে, সেই নিয়েই কটাক্ষ করেন প্রযোজক। বলেন, ছবি ভাল না হলে চোখের জল ফেলে কী হবে! এই সব সস্তার প্রচার কৌশল। সামান্থা তো আগেই ওর হিরোইন স্টেটাস হারিয়েছে, ওকে শকুন্তলার মতো চরিত্রের জন্য বাছা কী করে হল সেটাই বুঝতে পারছি না আমি’।
কালিদাসের পৌরাণিক কাব্য অবলম্বনে তৈরি ‘শকুন্তলম’-এ সামান্থার বিপরীতে দেখা মিলেছে দেব মোহনের। এছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন অদিতি বালান, মোহন বাবু, গৌতমী, মাধুরা। ছবি পরিচালনা করেছেন গুণশেখর। চিট্টিবাবু যতই কটাক্ষ করুন না কেন খুব শীঘ্রই ‘ও আন্তাভা'র গার্ল’কে দেখা যাবে সিটাডেলের ভারতীয় সংস্করণে। এই সিরিজে সামান্থার সঙ্গে থাকছেন বরুণ ধাওয়ান।