ঘরে ঘরে জি বাংলা পৌঁছেছিল সঙ্ঘশ্রী সিনহার বাড়িতে। কেরিয়ারের শুরু থেকে প্রেম, বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি সঞ্চালিকা অপরাজিতা আঢ্যর সম্মুখে। এর আগেও অভিনেত্রীকে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল প্রাক্তন প্রেমিকের হাতে হওয়া ‘শারীরিক নির্যাতন’ নিয়ে।
বর রোহন মিত্রকে পাশে নিয়ে বসেছিলেন সঙ্ঘশ্রী। কথায় কথায় তিনি অপরাজিতাকে বললেন, ‘আমার প্রেমিক আমাকে ঠকিয়ে আমার সামনে দিয়ে অন্য মেয়েকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই দুঃখ আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। আমার বাড়ির সামনে দিয়ে ওড়না উড়িয়ে যাচ্ছে… আমি ঠিক করলাম ওকে দেখিয়ে দেব বিয়ে করতে পারি কি না!’
‘এবার বিয়ে করতেই জ্ঞান ফিরেছে। এবার তো আর রিভার্স কোনও গিয়ার নেই’, আরও বলেন সঙ্ঘশ্রী। পাশে বসে থাকা অভিনেত্রীর মা বলে ওঠেন, ‘তাও বিয়ের আগেরদিন বলেছে, মা আমি বিয়ে করব না।’
রোহনের সামনেই বিবাহিত জীবনের কিস্সা ভাগ করে নেন। ‘বিয়ের পরদিনই ওকে (বরকে) বলছি, আমি বাড়ি যাব।’ পাশ থেকে বর বলে ওঠেন, ‘আমি বলেছিলাম ঠিক আছে। এত আয়োজন হয়ে গেছে। বউভাতটা হলে চলে যাবে।’
সঙ্ঘশ্রী জানান, এখনও ঝগড়া হলেই বাড়ি চলে যাওযার কথা বলেন তিনি। আর রোহনও তাঁকে আটকায় একই ভাবে, ‘এবার না মিটলে সত্যি সত্যি চলে যেও…’
এর আগেএকটি প্রোমোতে অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, কেরিয়ারের শুরুতে কত কষ্ট করেছেন। সংসার চালাতে সকালে করতেন সিনেমার কাজ, আর রাতে সেলাই। সঙ্ঘশ্রী অপরাজিতাকে জানান, ‘অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টরের কাজ করতাম, তারপর রাতে সেলাই করতাম।’
এর আগে ঙ্ঘশ্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ২০১৭ সালে রোহন মিত্রকে বিয়ে করেন তিনি। তবে তার আগে দীর্ঘ ১১ বছর একটি ‘বিষাক্ত’ সম্পর্কে ছিলেন। মারধর করত সেই ছেলেটি। সংঘশ্রীর কথায়, ‘যে তোমাকে একদিন অপদস্থ করছে, যে তোমাকে রোজ অপদস্থ করবে। যে একদিন গায়ে হাত তুলছে সে রোজ হাত তুলবে। আমরা ভাবি ভুল করে করে ফেলেছে, কিন্তু সেটা ভুল করে হয় না। ওটা স্বভাব। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমার ভুল। আমি ১১ বছর এই বিষাক্ত সম্পর্কটায় ছিলাম। এরপর অনেক কষ্টে সেটা থেকে বার হয়েছি’।
দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, বাড়ির থেকে সম্বন্ধ দেখে বিয়ে দেওয়া হয় রোহনের সঙ্গে। তবে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজই এখন পরিণত হয়েছে লাভ ম্যারেজে।