সংগীতপ্রেমীদের কাছে বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে সারেগামাপা। চলতি বছরেও বাংলার প্রতিযোগীরা ভরিয়ে রেখেছেন গানের এই রিয়েলিটি শো-এর মঞ্চ। সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া সারেগামাপা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে দুটো মাস। খুব জলদিই নতুন বিজয়ী পেতে চলেছে দেশ।
ইতিমধ্যেই ৩ প্রতিযোগী সবার আগে পৌঁছে গিয়েছেন ফাইনালে। যার মধ্যে দুজনই বাংলার। রয়েছেন অ্যালবার্ট কাবো লেপচা আর স্নেহা ভট্টাচার্য। এছাড়াও টপ ৩-এ জায়গা করে নিয়েছেন নিষ্ঠা শর্মাও। আর কারা পৌঁছয় সেটা বোঝা যাবে খুব জলদি।
আরও পড়ুন: শিশুদিবসের উপহার রহমত-মিনি! ছোটবেলার স্মৃতি উসকে দিল কাবুলিওয়ালার পোস্টার
তবে জি-এর তরফে তিন ফাইনালিস্টের নাম ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই উঠল বিতর্ক। কমেন্টে একাধিক নেট-নাগরিকের দাবি বিশেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বাংলার অ্যালবার্ট কাবো লেপচাকে। তার থেকে বেশি ভালো গান গেয়েছেন আব্দুল। কিন্তু জি-এর তরফে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে কাবোকে।
যদিও নেজিজেনদের বড় একটা অংশ শুভেচ্ছা জানাল কাবোকে। একজন লিখলেন, ‘অ্যালবার্ট আমার ভাই শো-র প্রথম ফাইনালিস্ট। অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা তোমায়। তুমি সেরা।’ আরেকজন লিখলেন, ‘অ্যালবার্টের জন্যই এই শো দেখতে ভালোলাগছে। অ্যালবার্টের হাতে ট্রফি দেখতে চাই।’ আরও পড়ুন: হবু বরের বুকে মাথা! বিছানায় অন্তরঙ্গ পাইস হোটেলের নন্দিনী, পোস্ট করলেন ভিডিয়ো
অনু মালিক, হিমেশ রেশমিয়া এবং নীতি মোহন এবার রয়েছেন বিচারকের আসনে। প্রথাগত শিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও কাবো গত বছর থেকেই বাংলার মানুষের মনে জয়াগা করে নিয়েছেন। এর আগে দেখা মেলে তাঁর বাংলা সারেগামাপা-য়। যদিও ফাইনালে উঠলেও শো জেতা হয়নি। মাসখানেক আগে হারান নিজের শিশুকন্যাকে। সেই কষ্ট বুকে নিয়েই রোজ মাতিয়ে চলেছেন দর্শকদের। শুধু তাই নয়, হিমেশ রেশামিয়া-র সঙ্গে রেকর্ড করে ফেলেছেন নিজের নতুন গানও।
এবারে জাতীয় মঞ্চে সারেগামাপা-য় মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন রথীজিৎ ভট্টাচার্য। তাঁরই শিষ্যা ফাইনালে পৌঁছনো স্নেহা ভট্টাচার্য। বাংলা সারেগামাপা-র প্রতিযোগি ছিলেন স্নেহাও। এসেছে দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চেও। ফাতিমা ছবিতে প্লে-ব্যাক করেন তিনি।
এছাড়াও সারেগামাপা-র সেরা ১২-তে পৌঁছেছিলেন উত্তরবঙ্গের ছেলে বুলেট, সোনিয়া গোজম, ঋক বসু, রণিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার বিজপার শিরোপা ফের বাংলার কোনও মানুষের কাছে আসে কি না! গত সিজনেও স্নিগ্ধজিৎ,অনন্যা, নীলাঞ্জনা, রাজশ্রীরা মাতিয়ে রেখেছিলেন সারেগামাপা-র মঞ্চ। ট্রফি জিতেছিলেন আলিপুরদুয়ারের নীলাঞ্জনা রায়।