পতৌদি পরিবারের ছবি-ভিডিয়ো দেখে এখনও যৌথ পরিবারের স্বাদ পায় নেট-নাগরিকরা। সকলে আলাদা আলাদা থাকলেও, যে কোনও অনুষ্ঠান তাঁরা কাটায় একসঙ্গে। শর্মিলা থেকে সইফ, সোহা-সাবা, কুণাল-করিনা বাদ যান না কেউই। এমনকী করিনার বাড়িতে অবাধ যাতায়াত সইফের প্রথমপক্ষের দুই সন্তান ইব্রাহিম আলি খান ও সারা আলি খানের। সম্প্রতি করণ জোহরের শো ‘কফি উইথ করণ’-এ এসেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর ও সইফ আলি খান। মা-ছেলের জুটি প্রথমবার বসল কফি কাউচে। এর আগে অবশ্য সইফকে দেখা গিয়েছিল কন্যা সারা-র সঙ্গে করণ জোহরের শো-তেই।
আর এখানেই কথা প্রসঙ্গে উঠে এল সইফ আর অমৃতার বিয়ে। ১৯৯১ সালে খুব অল্প বয়সেই অমৃতাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন সইফ। বয়সেও অমৃতা ছিল অনেক বড় তাঁর থেকে। শোনা যায়, পতৌদি পরিবারের নাকি একেবারেই পছন্দ ছিল না অমৃতাকে। মেনে নিতে বছর পাঁচেক সময় লেগেছিল বলেও শোনা যায়। তা কি সত্যি?
কফি উইথ করণ-এ উঠে এল সেই বিয়ের প্রসঙ্গই। সইফ জানান, অমৃতা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে মুম্বই এসেছিলেন। আর তখনই মা-কে সইফ জানান, অমৃতাকে আগেরদিন বিয়ে করেছেন। ছেলের এভাবে না বলেকয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে কেঁদে ফেলেছিলেন শর্মিলা। থামছিল না চোখের জল। ছেলেকে বলেছিলেন, ‘তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছ’।
শর্মিলা করণ জোহরকে এরপর জানান, ‘বাবা-মায়ের সঙ্গে জীবনের প্রতিটা দিক ভাগ করে নেওয়া খুব ভালো। কারণ ওরাই আপনাকে দেখভাল করে বড় করেছে।’
সইফ জানান, অমৃতাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত যেমন তিনি প্রথম মা-কেই জানিয়েছিলেন, তেমনই অমৃতার সঙ্গে বিচ্ছেদের কথাও প্রথম জেনেছিল শর্মিলাই। ছেলেকে বলেছিলেন, সব পরিস্থিতিতে পাশে থাকবেন তিনি।
শর্মিলার মতে, ‘ওটা খুব একটা সহজ পরিস্থিতি ছিল না। বিশেষ করে তোমরা যখন অনেকটা সময় একসঙ্গে থাকো। আর তোমাদের ওরকম মিষ্টি মিষ্টি সন্তান থাকে। দুজনের মধ্যে সেই সময় সম্পর্ক খুব একটা সুরেলাও ছিল না। আর ওরকম পরিস্থিতিতে তা সম্ভবও নয়। কারণ দুজনেই আঘাত পেয়েছে। ওই পরিস্থিতিটা খুব একটা ভালো ছিল না। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছিলাম। ওর (অমৃতার) ঠান্ডা হতে একটু সময় লেগে গিয়েছিল।’ বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর মতে, সেইসময় ছেলের বউয়ের সঙ্গে তিনি হারিয়েছিলেন দুই ফুটফুটে নাতি-নাতনি সারা আর ইব্রাহিমকেও।
২০০৪ সালে অমৃতার সঙ্গে ডিভোর্সের পর ২০১২ সালে করিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সইফ। মাঝে কিছু বছর সইফিনা জুটি ছিলেন লিভ ইনেও। তবে বাবার দ্বিতীয় বিয়ে-তে দুই সন্তানকেই পাঠিয়েছিলেন অমৃতা। সারা জানিয়েছিলেন, মা নিজের হাতে সাজিয়ে দিয়েছিল তাঁকে। করিনাও কোনওদিন চাননি সইফের আগের পক্ষের ছেলেমেয়েদের মায়ের জায়গা নিতে। বরং, ভালো বন্ধু হওয়ার হাত বাড়িয়েছিলেন বেবো।