এখনও ‘শেরশাহ’ জ্বরে কাবু গোটা দেশ। কার্গিল যুদ্ধে শহিদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রাকে ভুলতে পারছেন না দেশবাসী। সঙ্গে ভুলতে পারছেন না বিক্রম বাত্রা ও ডিম্পল চিমার প্রেমকাহিনি। ভালোবাসার মানুষের জন্য যে আত্মত্যাগ ডিম্পল করেছেন, তাও একটা দৃষ্টান্ত বলেই সকলের মত। ছবিতে দেখানো হয়েছে, কার্গিল রওয়ানা দেওয়ার আগে নিজের হাত কেটে রক্ত দিয়ে ডিম্পলের মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন বিক্রম। অনেক দর্শকের মতো শেরশাহর লেখক সন্দীপ শ্রীবাস্তবও নাকি ভেবেছিলেন এটা ‘বানানো গল্প’। পরে এটা সত্যি বলেই তাঁকে জানান ডিম্পল চিমা নিজে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সন্দীপ শ্রীবাস্তব জানান, ‘আমাদের এটা মেনে নিতে অনেকটা সময় লেগেছিল এঁর প্রেমকাহিনি এভাবে শেষ হয়েছে। একজন রয়ে গিয়েছে পিছনে, ডিম্পল। যে এখনও একা। সুতরাং এটা আমরা কোনওভাবে ছেড়ে যেতে পারিনি… আমি নিজে ২-৩ বার ডিম্পলের সঙ্গে দেখা করেছি। বুঝতে পেরেছি ওদের জার্নিতে অনেকগুলো মাইলস্টোন ছিল। যেখানে একটা মাইলস্টোন থেকে অন্য মাইলস্টোন ফুটিয়ে তুলতে আমরা কিছু কল্পনা ও সিনেম্যাটিক লিবার্টির আশ্রয় নিয়েছি।’
সিঁদুর সিনের প্রসঙ্গে সন্দীপ জানান, ‘‘এভাবে সিঁদুর পরানো অনেকের কাছেই হয়তো একটু বাড়াবাড়ি কারণ সাত বা আটের দশকে এমন হত। কিন্তু ডিম্পলের প্রতিক্রিয়া, ‘কিতনা ফিল্মি বান্দা মিলা হ্যায় মেয়নু’ সবটা ব্যালেন্স করে দিয়েছে। এই গল্পের একটা সুন্দর দিক নিসন্দেহে ডিম্পল।’’
ডিম্পল আর বিক্রম একে-অপরকে চার বছর ধরে চিনতেন। কিন্তু একসঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন মাত্র ৪০ দিন। বিক্রমের বাবা গিরিধারি লাল বাত্রা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, কার্গিলের যুদ্ধে ছেলের মৃত্যুর পর তাঁরা ডিম্পলকে বিয়ে করে নিতে বলেছিলেন। এমনকী, ডিম্পলের পরিবারের তরফেও সেরকমই বলা হয়েছিল। কারণ, গোটা জীবন পরে আছে। কিন্তু তিনি জানিয়েছিলেন, বিক্রমের স্মৃতিকে সঙ্গী করেই তিনি বেঁচে থাকতে চান।