‘বাড়ির পুজো প্রতিবছর করলেও এই বছর প্রথম বন্ধুর বাড়িতেও পুজো করলাম, ঠাকুরমশাইয়ের অভাবে আমাকেই ছোট্ট সরস্বতীর হাতেখড়ি দেওয়াতে হলো। মা-এর আরাধনায় ভুলত্রুটি থাকলে মা তার সন্তানকে নিশ্চই ক্ষমা করে দেবেন’, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এ কথা লিখে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে সকলকে বসন্ত পঞ্চমীর শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
এ বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পড়েছে সরস্বতী পুজো। আর এই দিনেই পালন হয় ভ্যালেন্টাইন্স ডে। বাঙালির বাড়িতে ঘরে ঘরে পুজো হচ্ছে জ্ঞানের দেবীর। আর এই বিশেষ দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মিষ্টি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য। সেখানেই দেখা গিয়েছে, দেবী সরস্বতীর সামনে ছোট্ট মিষ্টি একটি মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে বই দেখে সরস্বতী পুজোর মন্ত্র পড়ছেন অভিনেত্রী। আরও পড়ুন: ‘সিঙ্গল-মিঙ্গল সবকিছুর মাঝে..’, সরস্বতী পুজোর কী প্ল্যান, লাভ লাইফ নিয়ে অকপট শ্রীমা
হলুদ শাড়ি পরে, হাতে ফুল নিয়ে, শ্রীমার কোলে বসে অভিনেত্রীর সঙ্গে মন্ত্রোচ্চারণ করছে খুদেও। এরপরই ‘ছোট্ট সরস্বতী’র হাতেখড়ি দিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিয়োই ঝড়েই গতিতে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শ্রীমার এই ভিডিয়োটি দেখে তাঁকে আর ছোট্ট সরস্বতীকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। এক নেটিজেন লিখেছেন, 'কুচুউউউউ টা কি মিষ্টি বাবা!! আবার পু পু করে শাঁখ বাজায়। বাগদেবীর উদ্দেশ্যে, দুই সরস্বতী একসাথে পুজো মা আজ দারুণ খুশি, নিশ্চিত। শুভ বসন্ত পঞমী'। অপর একজনের মন্তব্য, ‘পুচকিটার উচ্চারণ গুলো কি মিষ্টি’। কেউ লিখেছেন, ‘কিউট পুরোহিত’।
এ দিন সকালে ভাইয়ের সঙ্গে নিজের বাড়িতে পুজোর সেরেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য। বাড়িতে অঞ্জলি দিয়ে উঠে ফোনের ওপার থেকে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে শ্রীমা জানিয়েছিলেন, ‘বাড়ির পুজো হয়েছে সকালে। বাড়ির পুজো আমি আর আমার ভাই দুজনে মিলে করি। বাপি (বাবা) বাড়িতে থাকলে বাপিই করে। সেই ক্ষেত্রে ঠাকুরমশাই নিয়ে এই টানাটানির বিষয়টা নেই। তাই পুজোও হয়ে গিয়েছে তাড়াতাড়ি'।
এরপরই ঠাকুরমশাইয়ের খোঁজ না মেলার চক্করে আচমকা এক বন্ধুর ফোন আসে অভিনেত্রীর কাছে। তিনিও রাজি হয়ে যান বন্ধুর বাড়ির পুজো করতে। বই দেখে মন্ত্র পড়ে মা সরস্বতীর পুজো করেন অভিনেত্রী। এরপরই ওই মিষ্টি মেয়ের হাতেখড়ি দিয়েছেন নায়িকা। শ্রীমা অবশ্য ফোনের ওপার থেকে জানিয়েছে, ‘এই প্রথম কারও হাতেখড়ি দিলাম’।