শ্রুতি দাস আর স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের প্রেম পরিণতি পেল ৯ জুলাই। অন্তরঙ্গ অনুষ্ঠানেই বাঁধা পড়লেন ‘রাঙা বউ’ অভিনেত্রী। নিজের পরিচালক প্রেমিকের গলাতেই দিলেন মালা। বহুদিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল এই বিয়ে নিয়ে। খবর ছিল, চলতি বছরেই সেরে ফেলবেন শুভ কাজটা। শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুও বারবার বলে আসছিলেন, সংসার তারা শুরুই করে দিয়েছেন করা! শুধু বিয়ের শিলমোহরটাই দেওয়া বাকি! অবশেষে গত রবিবার হয়ে গেল রেজিস্ট্রি। এবার শুধু মালাবদল আর সিঁদুর দান।
রেজিস্ট্রি ম্যারেজের দিন আসা সাদা রঙের কেকটি, যার উপরে রয়েছে গোলাপ ফুলের সাজ, তার ছবি দিয়ে অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে লেখেন ‘মিস টু মিসেস’। সঙ্গে শ্রুতি ফেসবুক প্রোফাইলের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস বদলে ‘ম্যারেড’ করে দেন। একই সঙ্গে নিজের পদবীতে দাসের সঙ্গে জুড়ে নেন সমাদ্দার। ভালোবাসার এর থেকে বড় উদযাপন আর কী বা হতে পারে।
তবে শ্রুতি আর স্বর্ণেন্দু বিয়ের কোনও মুহূর্ত পোস্ট না করলে কী হবে, অনলাইনে ভাইরাল বেশ কিছু ছবি। যাতে দেখা গেল রবিবার বর আর বউ দুজনেই সেজেছিলেন প্যাস্টেল কালারের পোশাকে। শ্রুতির শাড়ির সঙ্গে রং মিলিয়ে পঞ্জাবি পরেছিলেন স্বর্ণেন্দু। শ্রুতির খোঁপায় জুঁই ফুলের মালা। গলায় মঙ্গলসূত্র। মাথায় বড় মাঙ্গটিকা। সাজ বেশ ছিমছাম। চোখ জুড়িয়ে দেওয়া।
এক সংবাদমাধ্যমকে স্বর্ণেন্দু বললেন, ‘এটা আমাদের দুজনের কাছেই স্বপ্ন সত্যি হওয়া। অনেকদিন ধরেই আমরা একসঙ্গে। আর বুঝতে পেরেছিলাম এটাই বিয়ের আদর্শ সময়।’ আর শ্রুতি বললেন, ‘আমরা আমাদের রেজিস্ট্রি বিয়েটা ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছিলাম। কেবলমাত্র পরিবারের সদস্য ও কিছু কাছের বন্ধুরা নিমন্ত্রিত ছিল।’
‘ত্রিনয়নী’ থেকে তাঁদের প্রেমের পথ চলা শুরু হয়। দুজনের বয়সের ফারাক, শ্রুতির গায়ের রং নিয় কম কটাক্ষ হয়নি। অনলাইনে অনেকে ট্রোল করে দাবি করেছিলেন, কাজ পাওয়ার জন্য ‘বুড়ো পরিচালক’-এর গলায় মালা দিয়েছেন শ্রুতি। তবে সেইসব কটাক্ষ আলগা করতে পারেনি তাঁদের ভালোবাসাকে। বরং সময়ের সঙ্গে তা বেড়েছে। সব পরিস্থিতিতেই শক্ত করে ধরে রেখেছেন একে অপরের হাতখানা।
এর আগে বিয়ে প্রসঙ্গে শ্রুতিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমরা সত্যিই সংসারী জীবনই কাটাচ্ছি। সো কলড বিয়েটা হয়নি। আমার সেটে শরীরখারাপ থাকলে ও শটের ফাঁকে গিয়ে পাতলা ঝোলও রান্না করে দেয়। আমরা কাজ সামলে একে-অপরকে যতটা টেক কেয়ার করা যায় করি। আমার বয়সটা যেহেতু ওর থেকে অনেকটা কম, তাই অভিজ্ঞতাও কম। তবে আমাদের সম্পর্কে বয়সের ফারাক আমার কাছে বাবার মতো কাউকে পেয়ে যাওয়ার মতো। ও আমাকে বাবা-মার মতো টেক কেয়ার করে। এইগুলো ‘আজকে পাবে যাই’, ‘চলো ডেটে যাই’ এর থেকে উর্দ্ধে। বরং এখানে শ্যুটে এসে শরীর কীভাবে ঠিক থাকবে, অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়াতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার মনে হয় এটা বেশি জরুরি।’