৯ জুলাই নতুন পথচলা শুরু করেন শ্রুতি দাস এবং স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। টলিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি হলেন এঁরা। ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিক করার সময়ই পরিচালককে মন দিয়ে বসেন শ্রুতি। তাঁদের বয়সের ফারাক অনেক হলেও সেটা কখনও তাঁদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং তাঁরা একে অন্যকে আঁকড়ে ধরে জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন। চারপাশ দিয়ে নানা বিরূপ মন্তব্য, কটাক্ষ এলেও সবটা উপেক্ষা করেছেন তাঁরা। কিন্তু ৯ জুলাই মধ্যরাতে (তারিখ ততক্ষণে যদিও পাল্টে ১০-এ পড়েছে) একটি ছবি পোস্ট করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন শ্রুতি।
মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের ছবি পোস্ট করেন শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু দুজনেই। কখনও সপ্তাহের শেষের ঘোরাঘুরি, কখনও কোনও অনুষ্ঠানের ছবি, বা এমনই কিছু। তবে এদিন পোস্ট করলেন একটি কেকের ছবি। তাতে লেখা তাঁদের দুজনের নাম। আর উপরে লেখা জাস্ট ম্যারেড। হ্যাঁ, ৯ জুলাই চুপিসারে পরিবার এবং ঘনিষ্ট বন্ধুদের উপস্থিতিতে সই করে বিয়ে সারেন। সেদিনই পাল্টে ফেলেন সোশ্যাল মিডিয়ার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস। নিজের পদবীর পাশে যোগ হয়ে যায় স্বর্ণেন্দুর পদবী।
এরপরই একে একে প্রকাশ্যে আসতে থাকে তাঁর বিয়ের ছবি। সরু লাল পাড়ের সাদা শাড়িতে যেন অপরূপা সুন্দরী লাগছিল তাঁকে। সঙ্গে রুপোর গয়নায় তাঁর সাজ পৌঁছে যায় আলাদা মাত্রায়। এদিন স্বর্ণেন্দুকেও একটি সাদা পাঞ্জাবিতে দেখা যায়। দুজনের নতুন জীবন শুরুর পরই পেয়েছেন বহু শুভ কামনা। ভক্ত থেকে সহকর্মী সকলের ভালোবাসাই যেন তাঁদের নতুন চলার পথের পাথেয় হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালেই অভিনেত্রী তাঁর বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, 'কোনদিনই তোমার বাহ্যিক সৌন্দর্য বা বয়স বা অর্থ প্রতিপত্তি নিয়ে আমার মাথা ব্যথা ছিল না। বরাবর ধরার মতো একটা নরম কিন্তু শক্ত হাত খুঁজেছি। মাথা রাখার জন্য একটা বাবার মতো বুক আর কাঁধ চেয়েছি আর সেটা আমি পেয়েছি। প্রোফাইল পিকচারেও তাই তোমার মুখটা আমার আদরের হলেও ঢাকা অবস্থায় দিলাম যেহেতু আমি তোমার হাত টাই ধরতে চেয়েছিলাম সারাজীবনের জন্য। যে হাতটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেটা আমায় পরিপূর্ণ করেছে।' তিনি তারপর আরও লেখেন, 'কথা দিলাম, এই মিথ্যার দুনিয়ায় আবারও কথা দিলাম তোমার ছিলাম, তোমার হলাম, তোমারই থাকব।'
তিনি এই লেখার সঙ্গে তাঁদের সিঁদুরদানের মুহূর্তের একটি ছবি পোস্ট করেন।