‘মনের কথা ভীষণ উদাস, কোথায় কখন, কীভাবে, কে জানে; বদলে যেতে চায়….’, ফের প্রেমে পড়েছেন সোহিনী সরকার। রাখঢাক না রেখে শোভনের সঙ্গে নিজের প্রেমের কাহিনিতে সিলমোহর দিয়েছেন নায়িকা। জানিয়েছেন, ‘আমি আর শোভন ভালো আছি’।
গত বছর পুজোর আগেই শোভন আর সোহিনীর প্রেমের চর্চা সামনে আসে। সেসময় দুজনেই সদ্য ব্রেকআপ কাটিয়ে উঠেছিলেন। শোভনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় অভিনেত্রী স্বস্তিকার। আর সোহিনীর জীবন আলাদা হন রণজয় বিষ্ণু। প্রেম টেকানোর চেষ্টা করলেও টেকেনি রণজয়-সোহিনীর প্রেম। শোভনের সান্নিধ্যে এসে নাকি বদল আসে সোহিনীর জীবনে। এখন চুটিয়ে প্রেম করছেন তাঁরা। গত ফেব্রুয়ারিতে সুইডেন থেকে প্রি-হানিমুন ট্রিপ সেরে ফেলেছেন।
সম্প্রতি সোশ্যল মিডিয়ার দেওয়ালে একটি মিষ্টি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সোহিনী। সেখানেই রাস্তার ধারে চায়ের দোকানের বেঞ্চে মাটির ভাঁড়ে গরম চা খেতে দেখা গেল সোহিনীকে। কখনও মাঝরাস্তায় আনমোনা তিনি, কখন আবার লাল রকে বসে রয়েছেন উদাসী সোহিনী, দু-চোখে তাঁর প্রতীক্ষা। কার অপেক্ষায় রয়েছেন?
সোহিনীর পরনে লাল চেকের গামছা কুর্তি ও সাদা পালাজো। কপালে লাল টিপ, নাকে নোলকেই অনন্যা সোহিনী। তাঁর ফেসবুক রিলের প্রেক্ষপটে বাজছে কাকতাল ব্যান্ডর মন ছুঁয়ে যাওয়া গান। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা ‘সে গান শোনায়…’।
সোহিনীকে গান শোনানোর লোকের অভাব নেই। তবে এই পোস্টটি কি সেই ভালোবাসার মানুষটির জন্যই? এক নেটিজেন রসিকতা করে লেখেন, 'কিন্তু এট তো শোভনবাবুর নয়। বয়সে সোহিনীর চেয়ে বছর ৬-এর ছোট শোভন। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোহিনী বলেন, 'বলার সময় তো ফুরিয়ে যাচ্ছে না। এখনও সময় আছে। এক্ষুণি.. আমাকে পূর্ব সম্পর্ক, অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে তাড়াহুড়ো করে লাভ নেই। তবে সব কিছুই সোশ্যাল মিডিয়াতে….শোভন হয়ত কিছু ছবি দিয়ে ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেক কিছু আছে। যা হবে ভবিষ্যতে দেখা যাবে। আমরা ভালো আছি। সবকিছু দেখিয়ে, সেই সম্পর্ক ভেঙে গেল। তারপর তুমি হাতে বাটি নিয়ে বসে থাকলে, সেটার দরকার নেই'।
প্রেমের ক্ষেত্রে মুখচোরা সোহিনী। নিজের থাকতে ভালোলাগার কথা জাহির করেন না। বললেন, ‘আমি নিজে থেকে কিছু বলতে পারি না। আমি সবসময় উলটো দিকের মানুষটার জন্যই বসে থেকেছি। আমি প্রেমের ক্ষেত্রে অন্য মানুষটাকে বলতে পারি না। আমি বন্ধু হিসাবে কথা বললেও প্রেমে সেভাবে কাউকে বলতে পারি না। তবে সেই মানুষটাকে দেখি, দেখি যে নিজের কাজে কতটা ফোকাস, সে সোশ্যাল মিডিয়া ফ্রিক কিনা! সেগুলো দেখে একটু জাজ করি। একটু বুঝে নিই।’
এই বছর দোলটা শান্তিনিকেতনে কাটিয়েছেন দুজনে। তবে কর্মসূত্রেই হাজির ছিলেন সেখানে। বসন্ত শেষে শোভন-সোহিনীর প্রেমের রঙে কোনও বদল আসে কিনা সেইদিকে নজর সবার।