কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে স্বামী শাক্যকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়। বহুদিন ধরেই খবর মিলছিল, বিবাহিত জীবনে এসেছে খরা। অবশেষে তিনি নিজেই শিলমোহর দেন তাতে। সঙ্গে খবর ছিল, শোলাঙ্কি প্রেমে পড়েছেন অভিনেতা সোহম মজুমদারের। যিনি বলিউডে পরিচিতি পেয়েছেন কবীর সিং দিয়ে, আর টলিউডে তাঁকে জনপ্রিয়তা দেয় ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মোটি।
খবর ছিল, ফাঁকা সময়ে আড্ডা, পুজো সব নাকি দুজনে আজকাল একসঙ্গেই কাটাচ্ছেন। টুকটাক ছবিও মিলছিল সোশ্যালে। তবে নিবেদিতা অনলাইনের কাছে শোলাঙ্কি দাবি করে বসেন, সোহম শুধুই বন্ধু। আর সেই ‘বন্ধু’র জন্মদিনেই নিজেদের সম্পর্ককে দিলেন নতুন নাম।
আরও পড়ুন: আইপিএলের গেরো, হটে গেল ফুলকি! টপার এল জি থেকে, তবে জগদ্ধাত্রী নয়, চারে জলসা
সোহমের জন্মদিনে দুজনের একটা ছবি শেয়ার করলেন শোলাঙ্কি। দুজনের চোখে সানগ্লাস। নীল রঙের টপ পরেছেন অভিনেত্রী। আর সোহমের গায়ে মাস্টার্ড রঙের টিশার্ট। আর ক্যাপশনে লিখলেন, ‘এই দিনটা বারবার ফিরে আসুক। এভাবেই সবচেয়ে বোকা, মূর্খ এবং দয়ালু ব্যক্তি থেকে যাও এবং নিজের ভিতরে থাকা শিশুটিকে কখনোই বড় হতে দিও না!’
এরপরই ডাকলেন সেই বিশেষ নামে। আর সেটা হল ‘পিসেমশাই’। শোলাঙ্কি ক্যাপশনের দ্বিতীয়ভাগে লিখেছেন, ‘তুমি যে কতটা পিসেমশাই, সেটা আর নাই বা বললাম জন্মদিনে। এই দিনটি এবং আগামী বছরের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা!’
আরও পড়ুন: আবারও যৌন সুরসুরি! জনি সিন্সের সঙ্গে নতুন বিজ্ঞাপন ‘ক্যামেরায় নগ্ন হওয়া’ রণবীরের
আজকাল টলিপাড়া ছেলে বলিপাড়ায় মন শোলাঙ্কির। মুম্বইতে ভাগ্য অন্বেষণের চেষ্টায় লেগে পড়েছেন। সেখানে একটি ফ্ল্যাটও ভাড়া নিয়েছেন। শোলাঙ্কির এই মায়ানগরীতে যাওয়ার পিছনে সোহম নেই তো? এরকম প্রশ্ন আসতেই, সোজা সাপটা জবাব এসেছিল শোলাঙ্কির থেকে। ‘আমার কোনও স্পেশ্যাল ফ্রেন্ড নেই।’, জানিয়েছিলেন গাঁটছড়ার খড়ি। এরপর সোহমের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক জানতে চাইলে তিনি বলেন 'সোহম আমার খালি ভালো বন্ধু হয়।'
আরও পড়ুন: ছিলেন বাবা-মেয়ে! আর এখন আলোর কোলের ‘নন্দিনী’ আয়েশার সঙ্গে প্রেম করছেন ৪৫-এর অম্বরীশ?
২০১৮ সালের গোড়ায় স্কুলজীবনের বন্ধু শাক্য বোসকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। এরপর বরের হাত ধরে নিউজিল্যান্ডও চলে যান। বছর খানেক পর ফিরে আসেন তিনি, এরপর আস্তে আস্তে কমতে থাকে নিউজিল্যান্ডে যাতায়াত। ২০২৩ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয়েছে।
ডিভোর্সের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শোলাঙ্কির থেকে জবাব এসেছিল, ‘অনেক সময় দুজন মানুষ খুব ভালো হলেও তাঁরা ওই সময় একসঙ্গে থাকার জন্য ঠিক চয়েসটা নয়। সেটাই আমার মনে হয়েছে আমার ক্ষেত্রে হয়েছে।’