করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। এই অতিমারীর সঙ্গে লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। এই কঠিন পরিস্থিতিতেই গত সপ্তাহে স্বামীর সঙ্গে লন্ডন উড়ে গিয়েছেন সোনম কাপুর। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে লকডাউন শুরুর ঠিক আগেই লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছিলেন সোনম ও তাঁর স্বামী আনন্দ আহুজা। ফের উড়ে গেলেন লন্ডন,কারণ আনন্দের ব্যবসার একটা বড় অংশ রয়েছে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে। অথচ সে দেশে পৌঁছে নাকি কোয়ারেন্টাইনে নিয়ম ভেঙেছেন সোনম কাপুর। অনিল কন্যার বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ আনেন লন্ডনের এক সাংবাদিক। নিয়ম ভাঙার জন্য সোনমকে গ্রেফতার করারও দাবি তোলেন তিনি। তারপর থেকেই সোনমকে নিয়ে ট্রোলিং শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঘটনার সূত্রপাত্র সোনমের এক ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়ো ও বেশকিছু ছবিকে ঘিরে। ইনস্টা স্টোরিতে স্বামী আনন্দ আহুজার ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’ এর ছবি তুলে ধরবার পাশাপাশি একটি লেকের ছবি পোস্ট করেন সোনম। পাশাপাশি আউটটোর ওয়ার্ক আউটও করতে দেখা যায় নায়িকাকে।
সাংবাদিক নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে দাবি করেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী সোনম কাপুর ও মৌনি রায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ না মেনে অন্যের জীবনকে বিপদে ফেলছেন এবং অত্যন্ত খারাপ একটা উদাহরণ তুলে ধরছেন সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে। পুলিশে খবর এলে এঁনাদের গ্রেফতার পর্যন্ত করা হতে পারে'।
সোনম আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, 'আমি নিজের বাগানে ওয়ার্কআউট করছিলাম,সেটা আমার বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া। এক্কেবারে কোয়ারেন্টাইনে আছি..মানুষের অনেক সময়, এদের এড়িয়ে যেতে হয়'। যদিও সোনমের এই সাফাই মেনে নিতে পারেননি সেই সাংবাদিক, তাঁর পাল্টা দাবি সোনমের বাড়ির লাগোয়া ওই গার্ডেন গোটা এলাকাবাসীর জন্য কমন জায়গা। সেখানে সকলের যাতায়াত রয়েছে। এবং সেখানে ঘুরে বেড়ানো আইনবিরুদ্ধ।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েছেন স্টারকিডরা। বাদ ছিলেন না সোনমও। কফি উইথ করণ শো'তে সুশান্তকে চিনতে না পারার জেরেও ট্রোলের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। সেই কারণেই ইনস্টাগ্রামে নিজের কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে দিয়েছেন সোনম। এর মাঝেই ফের নতুন বিতর্কে জড়ালেন সোনম কাপুর।