পায়ে চোট পেলেন সৌমিতৃষা।
তারকাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে বা পর্দায় তাঁদের দেখে অনেকেই ভাবেন বুঝি বা কেরিয়ার ভরা থাকে চাকচিক্যে। কিন্তু শ্যুটের সময় নানা বিপদে পড়তে হয় তারকাদের। এমনকী, কাজের দায়বদ্ধতায় চোট, অসুস্থ শরীর নিয়েও করে যেতে হয় কাজ।
সেরকমই অভিজ্ঞতা ইনস্টা স্টোরিতে ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু। দুটি ছবি শেয়ার করেছেন দেবের নায়িকা। একটি ছবিতে দেখা গেল পায়ের নখে বাঁধা ব্যান্ডেজ, যা ভিজে আছে রক্তে। পরের ছবিতে দেখা গেল পায়ের আঙুলে করা হয়েছে ড্রেসিং। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড বলছে, পায়ের চোট তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল হাসপাতালে।
কী করে পেলেন চোট? আজতকবাংলাকে-কে অভিনেত্রী জানালেন, শ্যুটিংয়ের সময় তাঁর নখ উলটে যায়। রক্ত বেরিয়ে একাকার কাণ্ড। সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়েই চোট পান পায়ে। তবে সেই ব্যথা পা নিয়েই করেছেন শ্যুট।
এমনিতেই কাজপাগল হিসেবে পরিচিত সৌমিতৃষা। দীর্ঘ দু বছরের বেশি সময় ধরে মিঠাই সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি দর্শকদের থেকে। আর সেই সেটেও পেয়েছেন চোট একাধিকবার। সেই নিয়েই কাজ করেছিলেন।
পায়ে চোট পেলেন সৌমিতৃষা।
সৌমিতৃষাকে শেষ দেখা গিয়েছে দেবের প্রধান ছবিতে। মিঠাই ধারাবাহিক শেষ হতে না হতেই, বড় পর্দায় যাওয়ার খবর দিয়েছিলেন তিনি। ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছে প্রধান। দীপক প্রধানের চরিত্রে দেব, যিনি পেশায় পুলিশ অফিসার। আর দীপক প্রধানের স্ত্রী-র চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌমিতৃষা। ছবিটি এখনও রমরমিয়ে চলছে বক্স অফিসে। ডাঙ্কি, সালার, ফাইটার-এর মতো ছবিকে টক্কর দিয়েছে দেব-সৌমিতৃষার জুটি। ৫ কোটির আয় করে পেয়েছে ব্লকবাস্টার তকমা।
তবে এই সিনেমায় কাজ পাওয়ার পরই যেন অভিনেত্রীকে ঘিরে ধরেছিলেন নিন্দকরা। সিনেমায় সুযোগ পাওয়া নিয়ে কটু মন্তব্য করতে ছাড়েননি। এমনকী, দেব ও তাঁর উচ্চতার পার্থক্য নিয়েও বানানো হয়ছিল নানান আপত্তিকর মিম। কেউ আবার দাবি করতে থাকেন, বড় পর্দায় কাজের সুযোগ নাকি ‘অহঙ্কারী’ করেছে সৌমিতৃষাকে। এমনকী, অভিনেত্রীকে আক্রমণ করেন তাঁর মিঠাই সহ-অভিনেত্রী তন্বীকে। তিনিই জানান, সৌমিতৃষা নাকি বড় পর্দার নায়িকা হওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দিয়েছে তাঁকে।
তবে এসব ট্রোল ফুৎকারে উড়িয়ে সৌমিতৃষার জবাব ছিল, ‘আমরা তো আসা যাওয়ার পথে কত হোঁচট খাই, কত ফলো করি,কত আনফলো করি। বাব্বা! এতো ফেমাস আমি, সত্যি বলছি আমি জানি না আমি এত ফেমাস। কোনদিন দেখব আমি কী খাচ্ছি সেটা নিয়েও নিউজ হয়ে গেছে!’