বৃহস্পতিবারই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মা নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের হাসপাতালে ভর্তি করার খবর এসেছিল। তার পর থেকেই চিন্তায় ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের অনুরাগীরা। এখন কেমন আছেন তিনি?
জানা যায়, বৃস্পতিবার ১ ডিসেম্বর শরীরে অস্বস্তি বোধ করছিলেন নিরূপা। বাড়িতেই তাঁর ইসিজি করা হয়েছিল। তবে রিপোর্ট খুব একটা আশাব্যাঞ্জক না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। মূলত বয়সের কথা মাথায় রেখেই আসে এই পরামর্শ। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসা চলছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মায়ের। ডাক্তার আফতাব খানের দায়িত্বে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
সৌরভের দাদা, স্নেহাশিস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে নিরূপাদেবীর। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেশ কমে গিয়েছিল তাঁর। সেই সঙ্গে প্লেটলেট কাউন্টও কম ছিল। রাতেই তাঁকে রক্ত দিতে হয়েছে। আপাতত অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এখনই ছাড়া হচ্ছে না হাসপাতাল থেকে। বয়সজনিত কোনও সমস্যা যাতে না আসে সেদিকে নজর রাখতে চান চিকিৎসকরাও। বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানেই রাখা হয়েছে তাঁকে। সৌরভ ও স্নেহাশিসও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন মায়ের শারীরিক অবস্থার সবরকম আপডেট পেতে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায় নানা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন। ডায়াবিটিস আছে তাঁর। এমনকি হার্টের সমস্যাও রয়েছে দাদার মায়ের। এছাড়া করোনাকালে দুবার করোনা আক্রান্ত হন তিনি। ২০২১ সালে প্রথমবার তাঁর শরীরে থাবা বসায় করোনা। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। সুস্থ ফিরে আসেন বাড়ি। এরপর আবারও ২০২২ সালের জুলাই মাসে করোনা আক্রান্ত হন তিনি, তখন বেশ বাড়াবাড়ি অবস্থা হয়ে যায় তাঁর। প্রাথমিক ভাবে বাড়িতেই অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয় তাঁকে। পরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে তখন। তবে কেবল নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায় নন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২১ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন দাদা, তখন তাঁর বুকে তিনটি স্টেন্ট বসানো হয়। দেবী শেঠির হাতে চিকিৎসা চলে তাঁর। সুস্থ হয়ে ওঠেন মহারাজ। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের হার্টে ব্লকেজ দেখা দেয় ২০২১ সালেই। তখন তাঁর বুকেও স্টেন্ট বসানো হয়।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখন রয়েছেন দাদাগিরি-তে সঞ্চালনার দায়িত্বে। সেখানেও বারবার দাদা-র মুখে উঠে আসে মায়ের প্রসঙ্গে। আর সৌরভের মুখে ছোটবেলার গল্প শুনতে খুব পছন্দও করে তাঁর অনুরাগীরা। সকলেই চাইছেন, দ্রুত সেড়ে উঠে বেহালার বাড়িতে ফিরুক নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়।