দাদাগিরির মঞ্চে মেয়ে সানাকে নিয়ে হামেশাই কথা বলতে শোনা যায় সৌরভকে। মেয়ে অন্ত-প্রাণ মহারাজ। তবে পড়াশোনার সূত্রে দীর্ঘদিন বিদেশে মেয়ে, আপতত লন্ডনেই চাকরি করছে সানা। দূর থেকেই মেয়ের উপর নজরদারি চালান দাদা! ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রিলাভ করে সেখানকার এক নামী কোম্পানিতে (INNOVERV) চাকরি করছেন সানা গঙ্গোপাধ্যায়। তবে বাবার সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা লাগে সানার, এখনই কথা বন্ধ বাবা-মেয়ের! আরও পড়ুন-'বাবাকে নাচতে দেখে কেউ এত লজ্জিত হতে পারে…', সানার উপর অভিমানী সৌরভ!
দাদাগিরির সাম্প্রতিক এপিসোডে মেয়ের সঙ্গে ঝগড়ার কথা ফাঁস করলে সৌরভ। রবিবার রাতে সৌরভের শো-তে হাজির হয়েছিল ‘ফুলকি’ পরিবারের সদস্যরা। ফুলকির সতীন-কাঁটা শালিনী ওরফে শার্লির সঙ্গে আড্ডার ফাঁকেই উঠে এল সানা প্রসঙ্গ। শার্লি অকপটে বলেন, সৌরভের সঙ্গে নিজের বাবার মিল খুঁজে পান তিনি। মেয়ের সুবিধায় সব অসাধ্য সাধনে তৈরি থাকেন তাঁর বাবা, যেমনটা সানার জন্য করে থাকেন সৌরভ।
শার্লিকে বলতে শোনা গেল, ‘বাবার আমার ভীষণ ক্লোজ, কিছু কিছু বিষয়ে আমি তোমার সঙ্গে আমার বাবার খুব মিল পাই…আমি শুনেছি যে তুমি সানাকে ভীষণ প্রোটেক্ট করতে, স্কুলে নিয়ে যেতে। ও ফোন করে তোমার মন ভালো থাকে, না করলে মন খারাপ লাগে।’ এই কথা শুনে খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে যান দাদা। বলেন, ‘এখন ঝগড়া চলছে… সানা খুব একটা কথাবার্তা শোনে না। সব বিষয়ে খুব একটা মতামত রয়েছে। মতামত নিয়ে বাবার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হয়, তবে হ্যাঁ, সানাই (আমার) সবচেয়ে প্রিয়’।
হ্যাঁ, মেয়ে এখন স্বাবলম্বী। সব বিষয়ে নিজের ওপিনিয়ন রয়েছে সানার। সেই নিয়ে বাবার সঙ্গে খিটিমিটি লেগে থাকে তাঁর। নিজের উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া হলে সেটা মেনে নেয় না সৌরভ-কন্যা। ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে প্রায়শই মেয়ে-বউকে নিয়ে হাজারো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সৌরভকে। এদিন সৌরভকে দু-বছর আগের এক ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়েও প্রশ্ন করেন ‘শালিনী’ শার্লি মোদক।
সৌরভের ৫০তম জন্মদিনে সোশ্যালে ভাইরাল হয়েছিল এক ভিডিয়ো। লন্ডন আইয়ের সামনে একেবারে মনের আনন্দে, প্রাণ খুলে নাচছেন ‘দাদা’! রাস্তায় মুখ ঢেকে বসে পড়েছিলেন সৌরভ কন্যা। সেই ভিডিয়ো নিয়েই শার্লি জানতে চান। সৌরভ জবাবে বলেন, ‘সানা সবচেয়ে বেশি লজ্জিত ছিল। বাবাকে নাচতে দেখলে কেউ এত লজ্জায় পড়তে পারে, ওকে না দেখলে আমার জানা ছিল না। তবে ও যত এমবারেসড হয়েছে, আমার আর আমার বন্ধুদের নাচ তত বেড়েছে’।
সানা টুয়েলভ পাস করেন কলকাতার স্বনামধন্য লোরেটো হাউস স্কুল থেকে। আইএসসি-তে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৮ শতাংশ। তাই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতেও কোনও সমস্যা হয়নি। বাবা-মা'র সাফল্য কোনওদিন মাথায় চেপে বসেনি সানার। স্নাতক ডিগ্রি হাতে পাওয়ার আগেই বিশ্বের অন্যতম সেরা মাল্টিন্যাশন্যাল কোম্পানি পিডব্লুসি (PWC) লন্ডন থেকে ইন্টার্নশিপ করেন। এরপর যোগ দিয়েছিলেন কনসাল্টিং ফার্ম ডেলোয়েটে। গত বছরের শেষেই কনসাল্টিং ফার্ম INNOVERV-এ চাকরিতে যোগ দিয়েছেন সানা গঙ্গোপাধ্যায়।