গোটা বাংলার নয়নের মণি দাদা। আর দাদার জীবনের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান তাঁর মেয়ে, সানা। ক্রিকেট প্রশাসকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখন পরিবারকে অনেকটা সময় দেন সৌরভ। দেখতে দেখতে ২২-এর গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছেন সৌরভ কন্যা। বাবা-মা'কে ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরেই লন্ডনে থাকেন সানা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রিলাভ করে সেখানকার এক নামী কোম্পানিতে (INNOVERV) চাকরি করছেন। আরও পড়ুন-‘দূরে গাছের তলায় দাঁড়িয়ে থাকব..’, সানাকে কলেজে ছাড়তে গিয়ে গোপন ডেটের অনুভূতি! বেফাঁস সৌরভ
‘দাদাগিরি’র মঞ্চে প্রায়শই মেয়ে-বউকে নিয়ে হাজারো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সৌরভকে। কখনও কখনও আমার ব্যক্তিগত বিষয় টেনে আনেন মহারাজ নিজেই। চলতি সপ্তাহে ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে হাজির হবে ‘ফুলকি’ পরিবার। সেখানেই সৌরভকে দু-বছর আগের এক ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে প্রশ্ন করলেন ‘শালিনী’ শার্লি মোদক।
সৌরভের পঞ্চাশতম জন্মদিনের আসর বসেছিল লন্ডনে। মেয়ে-বউয়ে নিয়ে জীবনের হাফ সেঞ্চুরিটা পছন্দের শহরেই কাটিয়েছিলেন দাদা। সৌরভের ৫০তম জন্মদিনে সোশ্যালে ভাইরাল হয়েছিল এক ভিডিয়ো। লন্ডন আইয়ের সামনে একেবারে মনের আনন্দে, প্রাণ খুলে নাচছেন ‘দাদা’! বাবার কীর্তিতে বেজায় লজ্জিত মেয়ে, তা সানাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। রাস্তায় মুখ ঢেকে বসে পড়েছিলেন সৌরভ কন্যা। সেই ভিডিয়ো নিয়েই শার্লি জানতে চান। সৌরভ জবাবে বলেন, ‘সানা সবচেয়ে বেশি লজ্জিত ছিল। বাবাকে নাচতে দেখলে কেউ এত লজ্জায় পড়তে পারে, ওকে না দেখলে আমার জানা ছিল না।’ তবে কথায় আছে না,'যেমন বুনো ওল, তেমনি বাঘা তেঁতুল'! সৌরভ যোগ করেন, ‘ও যত এমবারেসড হয়েছে, তত নাচ বেড়েছে’।
সৌরভের কথা শুনে মুখে চওড়া হাসি ফুলকি, শালিনী, রোহিতদের। কিছুদিন আগেই সৌরভ দাদাগিরির মঞ্চে বলেছিলেন সানা কিছুতেই সৌরভকে নিজের কলেকে হাজির হতে দিত না। ১ মাইল দূর থেকেই বাবাকে ভাগিয়ে দিত সানা। খানিক আফসোসের সুর সৌরভ বলেছিলেন, ‘কলেজের এক মাইল দূরে বলবে তুমি বাড়ি যাও। আমি বললাম কেন? সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি এলাম। ও বলবে- না আমার বন্ধুরা দেখে নেবে তুমি বাড়ি যাও’। এরপর গোপন ডেটের প্রসঙ্গ টেনে সৌরভ জানা, ‘আর বিকাল বেলা আসতাম, ডেটিং-এর মতো হয় না। দূরে গাছের তলায় দাঁড়িয়ে থাকবে, আমি ওখানে আসব। আমাকে ওখানে (লুকিয়ে) দাঁড়াতে হত’।
সানা টুয়েলভ পাস করেন কলকাতার স্বনামধন্য লোরেটো হাউস স্কুল থেকে। আইএসসি-তে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৮ শতাংশ। তাই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতেও কোনও সমস্যা হয়নি। বাবা-মা'র সাফল্য কোনওদিন মাথায় চেপে বসেনি সানার। স্নাতক ডিগ্রি হাতে পাওয়ার আগেই বিশ্বের অন্যতম সেরা মাল্টিন্যাশন্যাল কোম্পানি পিডব্লুসি (PWC) লন্ডন থেকে ইন্টার্নশিপ করেন। এরপর যোগ দিয়েছিলেন কনসাল্টিং ফার্ম ডেলোয়েটে। গত বছরের শেষেই কনসাল্টিং ফার্ম INNOVERV-এ চাকরিতে যোগ দিয়েছেন সানা গঙ্গোপাধ্যায়।