টলি পাড়ার ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত শ্রীলেখা মিত্র। সত্যি কথা বলতে কখনও পিছু পা হন না শ্রীলেখা। সোজা কথা সোজা ভাবেই বলতে পছন্দ করেন। দাপুটে অভিনেত্রী এবার আইটেম গার্ল! বাপ্পার আগামী ছবি ‘নেগেটিভ’-এ একটি আইটেম গানে নাচতে দেখা যাবে তাঁকে। শ্রীলেখার অন্যতম প্রিয় সহ-অভিনেতা প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্য়ায়।
প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে এক সময় চুটিয়ে কাজ করেছেন শ্রীলেখা। একাধিক ছবিতে একসঙ্গে স্ক্রিনস্পেস শেয়ার করেছেন। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ, মাত্র ৫৭ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন অভিষেক। প্রাক্তন সহকর্মীকে নিয়ে স্মৃতিমেদুর পোস্ট ভেসে উঠল অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। ‘টলিলাইটস’ ছবির পোস্টারও শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বেবিবাম্প, ফেটে পড়ছে প্রেগন্যান্সি গ্লো, কোথায় দেখা মিলল আলানার
প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে পুরনো ছবিও পোস্ট করেছেন শ্রীলেখা। সঙ্গে লিখেছেন, ‘অর্জুন চক্রবর্তী পরিচালিত ছবি ছিল ‘টলিলাইটস’। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। অর্জুনদার আরও অনেক ছবি পরিচালনা করা উচিত ছিল। এমন আরও অনেকে আছেন, যাঁদের আরও অনেক কাজ করার দরকার ছিল। কিন্তু বহু অজানা কারণে তাঁরা সেই কাজ করে উঠতে পারেন না। মিঠুদা, অর্থাৎ অভিষেক চট্টোপাধ্যায় অনেক-অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। দারুণ অভিনেতা তিনি। তুমি এই জগতে নেই, কিন্তু তোমার কাজগুলো থেকে যাবে। হ্যাঁ, আমি এই ছবিতে একটা ড্যান্স নম্বর করেছিলাম’।
শ্রীলেখার শেয়ার করা পোস্টে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্য়ায়ের ছবি দেখে আবেগঘন হয়ে ওঠেন। এক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘মিঠুদা দুর্দান্ত’। কেউ লিখেছেন, ‘কোনও কথা হবে না। তুমি সুন্দরী।’ কারও মন্তব্য, ‘সোনালী মুহূর্ত’। কেউ লিখেছেন, ‘ড্রিম গার্ল’।
প্রসঙ্গত, ‘নেগেটিভ’ ছবিতে একেবারে অন্য লুকে দেখা যাবে শ্রীলেখাকে। ছবিতে একটি আইটেম গানে নাচবেন অভিনেত্রী। আগামী কাজের প্রসঙ্গে শ্রীলেখা বলেছেন, ‘বাপ্পার সঙ্গে আমার পরিচয় কোনও একটা ফিল্ম ফেস্টিভালে। এই ছবিটাতে যখন ও আমায় বলল যে দিদি একটা আইটেম সং আছে... করবে? একটু ঝটকা খেয়েছিলাম, বললাম আইটেম সং আমি কেন? আমি বললাম তাহলে আগে আমাকে গানটা পাঠা, গানটা শুনি। আমায় গানের একটা স্ক্র্যাচ পাঠালো, আমার শুনে মন্দ লাগলো না। আমাকে বিশেষ কোথাও নাচতে দেখা যায়নি, যদিও আমি ট্রেইন্ড ক্লাসিক্যাল ডান্সার’।
অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘যখন হার্ডকোর কমার্শিয়াল ছবি করতাম, তখন যে রকম নাচ হতো। তখন তো এত বিদেশে গিয়ে নাচের শ্যুটিং গানের শ্যুটিং এইসব হতো না, ছবিতে এতো বাজেটও থাকতো না। সেইসব ছবিতে নেচেছি কিন্তু কোথাও শো বা ডান্সার হিসেবে কোথাও প্রকাশ হয়নি, তাই এটা একটা চ্যালেঞ্জের মত লাগল। কারও কাছে প্রমাণ করতে নয়, প্রমানটা অনেকটা নিজের কাছে। আমি পারবো কি না চ্যালেঞ্জটা নিলাম। বিরাট বড় হেল্প হল আমার যখন কোরিওগ্রাফারের সঙ্গে আমার আলাপ হল, দুটো তিনটে রিহার্সাল দিয়েছিলাম, কনফিডেন্স ফিরে পেলাম। বাকিটা দর্শক বলবে।’