সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে শুভশ্রীর জামাইবাবু, রয়েছে ধর্ষণ ও বউ পেটানোর অভিযোগ

ব্যারকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর শ্যালিকার স্বামীকে গতকাল গ্রেফতার করে নিউ টাউনের টেকনোসিটি থানার পুলিশ।আজ সাত দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে অভিযুক্তের।

দেবশ্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অমিত ভাটিয়া 

বিয়ের দু-মাসের মধ্যেই পালটে গেল শুভশ্রীর দিদির গোটা দুনিয়া! সাত বছরের বন্ধুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়বার সাত দিন পর থেকেই নাকি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মুখে পড়েছেন দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর স্বামীর কুর্কীতির কথা জানতে পেরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর শ্যালিকা। দেবশ্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল (শুক্রবার) অমিত ভাটিয়াকে গ্রেফতার করে নিউ টাউনের টেকনো সিটি থানার পুলিশ।

স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হ্যস্থ হিংসার অভিযোগ এনেছেন দেবশ্রী। এদিন বারাসাত আদালতে তোলা হয়েছিল অমিত ভাটিয়াকে, বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন দেবশ্রীর স্বামীকে। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে অমিত ভাটিয়ার বিরুদ্ধে। আগামী শনিবার এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।  অমিত ভাটিয়ার আইনজীবী দীপিক দে জানিয়েছেন, ‘দেবশ্রী আনা অভিযোগ আসলে বর্ণনা, সেটা স্ববিরোধী মন্তব্যে ভরা। এই বর্ণনার বয়ান প্রকৃত ঘটনার প্রতিফলন নয়। এর পিছনে অন্য একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। অমিত ভাটিয়াকে নিজের স্বার্থে উনি ফাঁসিয়েছেন’। 

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮, ৪০৬, ৪৬৭, ৪৭১,৩৭৭, এবং ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে অমিত ভাটিয়ার বিরুদ্ধে।

দেবশ্রী জানিয়েছেন, সাত বছর ধরে একে অপরকে চেনেন তাঁরা। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে প্রেম দিসবের দিন দেবশ্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন অমিত। ২রা এপ্রিল বিয়ের পরই দেবশ্রীর সব গয়না নিজের হেফাজতে রেখে দেন শাশুড়ি দীপালি ভাটিয়া। কাজের প্রয়োজনের নাম করে দেবশ্রীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকাও নাকি হাতিয়ে নেয় অমিত। শাশুড়ি বাগুইহাটির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন, অন্যদিকে স্বামী, প্রথমপক্ষের সন্তান ও পোষ্যকে নিয়ে অন্য ফ্ল্যাটে থাকতেন দেবশ্রী। গয়না, টাকা নেওয়ার পরেও কোনওরকম সন্দেহ হয়নি দেবশ্রীর। কিন্তু তাঁর কথায়, ‘বিয়ের ৭ দিন কাটতে না কাটতেই মানসিক অত্যাচার শুরু করে অমিত। মাঝে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলাম। অসুস্থ অবস্থায় স্বামীর হাতে মার খেতে হয়েছিল’।

স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করে নিলেও যখন দেবশ্রী জানতে পারেন অমিত ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত তখন চুপ থাকতে পারেননি।সবটা খুলে বলেন শুভশ্রী ও জামাইবাবু রাজ চক্রবর্তীকে। তাঁরা পাশে দাঁড়াতেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন দেবশ্রী। নিজে সুবিচার চান দেবশ্রী, পাশাপাশি ও নির্যাতিতা মেয়েটিও সুবিচার পাক এমনটাই প্রার্থনা দেবশ্রীর। আইনের উপর ভরসা রাখছেন তিনি।