হাসপাতালে ভর্তি রান্নাঘর-খ্যাত সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী। শনিবার থেকেই পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর মিলছে। রটে যায় অগ্নিদেব ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। যা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বাড়তে পোস্ট করে ফেললেন সুদীপা নিজেই। রান্নাঘর-খ্যাত এই অভিনেত্রী শনিবার রাতে সমাজমাধ্যমে লিখলেন, ‘আমার স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্য়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হননি। তবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগামীকাল তাঁর অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা হবে। আপনারা পাশে থেকেছেন, সেই জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার স্বামীর জন্য আপনারা প্রার্থনা করবেন।’
আপাতত কলকাতা থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গির উৎপাত শুরু হয়েছে। একাধিক মানুষ আক্রান্ত এই রোগে। অনেকে মারাও যাচ্ছেন। দিন কয়েক আগে অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায় হারিয়েছেন তাঁর বোনকে। স্বভাবতই অগ্নিদেবের ডেঙ্গির খবর রটে যাওযার পর থেকেই চিন্তার কালো মেঘ জড়ো হয়েছিল অনেকের মনে তা কমেছে। সকলেই অগ্নিদেবের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
১৯৮৭ সালে ‘চৌধুরী ফার্মাসুটিক্যালস’ ধারাবাহিক পরিচালনা দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন। ‘ডার্ক চকোলেট’, ‘চারুলতা ২০১১’, ‘মিসেস সেন’, ‘তিন কন্যা’র মতো ছবির পরিচালক হিসেবে দেখা গিয়েছে অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়কে। প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর গাঁটছড়া বাঁধেন সুদীপার সঙ্গে। প্রথম বিয়ে থেকে একটি ছেলে রয়েছে, নাম আকাশ। তাঁর ও সুদীপারও একটি ছেলে হয়, নাম আদিদেব।
উত্তর কলকাতার যৌথ পরিবারের মেয়ে সুদীপার সঙ্গে অগ্নিদেবের আলাপ হয়েছিল কাজের সূত্রেই। বয়সের অনেকটা ফারাক থাকা সত্ত্বেও একে-অপরকে খুব সহজেই আপন করে নেন। জাঁকজমক ছাড়া অত্যন্ত ঘরোয়াভাবেই ২০১০ সালে অগ্নিদেবের বালিগঞ্জের বাড়িতে বসেছিল বিয়ের আসর৷ এরপর ২০১৭ সালে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন তাঁরা। প্রথম বিয়ের পর মানালি আর দ্বিতীয় বিয়ের পর হানিমুনে গিয়েছিলেন ইউরোপে। আরও পড়ুন: ‘পাঠান’ ভেঙে চুর চুর, ‘জওয়ান’ শাহরুখ ফের বলিউডের বেতাজ বাদশা, ১৭ দিনের আয় কত?
একাধিকবার সুদীপা জানিয়েছেন, তাঁর কাজ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনে অগ্নিদেবের প্রভাব সীমাহীন। তাই তো ভালোবেসে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন মানুষটাকে। অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় চোখ রাখলে তেমনটাই চোখে পড়ে।
অগ্নিদেবের অ্যাঞ্জিওগ্রাম হওয়ার খবর শুনেও দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন নেটিজেনরা। একজন লিখলেন, ‘ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’ আরেকজন লিখলেন, ‘অনেক প্রার্থনা। জয় মা তারা। সব ঠিক হয়ে যাক।’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাক অগ্নিদেব। তুমি মনে শক্তি রাখো।’