২০২১ সালের সবচেয়ে বড় বিতর্ক ছিল ‘কনম্যান’ সুকেশ চন্দ্রশেখর ও জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের মধ্যে সম্পর্ক। একটি ২০০ কোটির প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করা হয় এই সুকেশকে। আর তারপরেই নানা জেরায় তাঁর সাথে জ্যাকলিনের ঘনিষ্ঠতার কথা সামনে আসতে থাকে। জানা যায় বলি অভিনেত্রীকে বেশ দামি দামি উপহারে ভরিয়ে তুলেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার কিছুদিন পরে একটা ছবিও ভাইরাল হয়। যেখানে সুকেশ আর চন্দ্রশেখরকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় পাওয়া যায়। ইডি ডেকে পাঠায় শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা এই নায়িকাকে।
সুকেশের আইনজীবী অনন্ত মালিকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে সুকেশ দাবি করেছেন, তাঁকে যে ‘কনম্যান’ বা ‘ঠকবাজ’ হিসেবে লেখা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়। সঙ্গে সুকেশ মেনে নিয়েছেন অভিনেত্রী জ্যাকলিনের সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা। যদিও সুকেশের দাবি সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কোনও আইনি মামলার অংশ নয়।
সুকেশের দাবি তিনি করপোরেট লবিস্ট হিসেবে কাজ করতেন যাঁরা বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজ ও সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলে। আর সেই সূত্রেই তাঁর সম্পর্ক আছে অনেক রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মচারী ও বড় ব্যবসায়িক পরিবারদের সাথে।
আপাতত সুকেশের বিরুদ্ধে ২০০ কোটির প্রতারণার মামলার তদন্ত করছে ইডি। বিভিন্ন সময় এই কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে নানা খবর সামনে আনা হয়েছে, যেখান থেকে জানা গিয়েছে শুধু জ্যাকলিন নয় নোরা ফতেহি-র মতো কিছু বলিউড তারকার সাথেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল সুকেশের। তাঁদেরকেও তিনি দামি দামি উপহার দিতেন। জানা যাচ্ছে স্পুফিং অ্যাপ ব্যবহার করে শিকারদের ফোন করতেন তিনি ও নিজেকে একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবেই পরিচয় দিতেন। এমনকী, জ্যাকলিনও ইডির জেরায় এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে। সুকেশ তাঁকে ফোন করে নিজের পরিচয় হিসেবে বলেছিল ‘সান টিভি’র মালিক ও সাথে ছবির অফারও দিয়েছিল বড় বাজেটের।
প্রসঙ্গত, দিল্লির রোহিনী জেলে অদিতি সিং নামে এক মহিলার থেকে ২০০ কোটি টাকা নেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। ওই মহিলা সেখানে নিজের জেলবাসী স্বামীর সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। আর সুকেশ হয়তো এসেছিলেন জেলের কোনও অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে! আর তখনই অদিতিকে তিনি জানান ২০০ কোটি টাকা পেলে তাঁর স্বামীকে ছাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। তবে, সুকেশ তাঁর প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন আদৌ অদিতি তাঁকে ২০০ কোটি দিয়েছেন কি না, বা জেলের আধিকারিকদের তিনি কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন কি না, তা তো তদন্তেই উঠে আসবে!