সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তে আর কোনও বাধা রইল না। বুধবার এই মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলার তদন্ত মুম্বইয়ে স্থানান্তরিত করবার রিয়া চক্রবর্তীর পিটিশন খারিজ করে দিল। শুধু তাই নয়, বিহার পুলিশের এফআইআর পুরোপুরি বৈধ এবং এই মামলার সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করবার অধিকারও রয়েছে বিহার সরকারের, পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের।
এই রায় আসবার কয়েকঘন্টার মধ্যেই জানা গিয়েছে আগামিকালই মুম্বই পৌঁছাচ্ছে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা। রিপাবলিক মিডিয়ার দাবি, বৃহস্পতিবারই মুম্বইয়ে পৌঁছাচ্ছে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে দায়িত্ব থাকা সিবিআইয়ের দলের এসপি এবং আইও।ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের মুম্বই ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাঁরা। গত ৫ অগস্ট বিহার সরকারের সুপারিশ মেনে কেন্দ্র সরকার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল এই মামলার তদন্ত। সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন গুজরাত ক্যারেডের আইপিএস অফিসার মনোজ শশীধর। বর্তমানে সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর তিনি। ২০১৬ সালের জুন মাসে এই তদন্তকারী দলটি গঠন করা হয় সেই সময়কার সিবিআই স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ অস্তানার অধীনে। তারপর থেকে গত চার বছর ধরে এই দুটি মামলার তদন্ত করেছে তাঁরা। চার বছর পর প্রথম কোনও মামলার তদন্তভার গেল অ্যান্টি-কোরাপশন ৬-এর হাতে। মনোজ শশীধরের সঙ্গে আইপিএস অফিসার গগণদীপ গম্ভীর (ব্যাচ ২০০৪) এবং এসপি নূপুর প্রসাদ এই মামলার তদন্তে যুক্ত রয়েছেন। তাঁরাই আগামিকাল মুম্বই পৌঁছাচ্ছেন।
সুশান্তের মৃত্যুর ফরেনসিক রিপোর্ট, ফটোগ্রাফ সব তথ্য আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে মুম্বই পুলিশকে। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে, জানিয়েছে রিপাবলিক মিডিয়া। এদিন সুপ্রিম কোর্ট মুম্বই পুলিশকে সিবিআইয়ের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবার নির্দেশ দিয়েছে।
গত ১৪ ই জুন বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। মুম্বই পুলিশ শুরু থেকেই দাবি করে আসছে আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত, যদিও সেই দাবি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় সুশান্ত অনুরাগীরা। পরবর্তীতে সুশান্তের পরিবারও আত্মহত্যার তত্ত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। সুশান্তের অটোপসি রিপোর্ট থেকে সমস্তরকম ফরেনসিক তথ্য পুনরায় যাচাই করে দেখবে সিবিআই খবর সূত্রের।