১২ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে বিজয়ার পরে। ইতিমধ্যেই দর্শকদের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এই সিনেমা। ছবিতে রয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, মমতা শংকর, দীপঙ্কর দে, মীর আফসার আলি, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, বিদিপ্তা চক্রবর্তীর মতো তারকারা। আপাতত জমিয়ে প্রোমোশন চালাচ্ছেন স্বস্তিকা নিজের ছবির। তারই মাঝে অভিনেত্রীর ঋতুস্রাব নিয়ে বলা কিছু কথা ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে।
বিজয়ার পরের ট্রেলার দেখাচ্ছে, পুরনো বনেদি বাড়ির পুজোয় অনেক বছর পরে ফিরে এসেছে মেয়ে। কিন্তু আনন্দের রেশটুকু নেই বাড়ির কারও মুখে। মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন না বাবা। হাসি নেই মায়ের মুখেও। কেন এমন হচ্ছে? ছবিতে মমতা শংকর ও দীপঙ্কর দে-র মেয়ের চরিত্রে স্বস্তিকা। ইতিমধ্যেই কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে এই সিনেমা।
আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকাকে কথা বলতে শোনা গেল আত্মবিশ্বাস নিয়ে। সে ‘মোটা হাত নিয়ে হাতাকাটা ব্লাউজ’ পরা হোক, বা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া, সবটাই গলা খুলে সকলের সামনে বলতে ভয় পান না এতটুকু। কারণ বোঝেন নিজের মধ্যে একফোঁটাও কুণ্ঠা থাকলে, অভাব আসবে আত্মবিশ্বাসে। এমনকী বেশ স্পষ্ট করেই জানালেন, এক অপারেশনের কারণে বন্ধ হয়েছে তাঁর ঋতুস্রাবও। সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতেও একফোঁটা দ্বিধা নেই তাঁর মধ্যে।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘২০২৩ সালে আমার একটা অপারেশন হয়েছে। হিস্টেরেকটমি ওফোরেক্টমি। ওভারি, ইউটেরাস সবই কেটে বাদ দিতে হয়েছে আমার। আমি দেখছি ডাক্তারের ওখানেও না লোকে এটাকে এমন করছে কেউ যেন জানতে না পারে। আমি বললাম আমার মতো অনেকে আছে। যাদের হয়তো বয়স হয়নি এটা করার। কিন্তু গাইনোকলজিক্যাল কিছু সমস্যার কারণে করাতেই হয়েছে। তাতে লজ্জা কি!’
‘সঙ্গে যে মুক্তির স্বাদ আমি পেয়েছি। আমার আর পিরিডস হচ্ছে না। আমাকে স্যানিটারি ন্যাপকন ব্যবহার করতে হচ্ছে না। এটা নিয়ে যদি আমিই কথা বলতে লজ্জা পাই, তাহলে কীভাবে আশা করব পিরিয়ডস নিয়ে ট্যাবু কমে যাবে। আমি একজন তারকা হয়ে যদি এরকম করি, তাহলে একটা সাধারণ ঘরের মেয়ে তো লজ্জা পাবেই’, আরও বলতে শোনা গেল স্বস্তিকাকে।
অভিনেত্রী এই সাক্ষাৎকারেই জানালেন, ‘মোটা হাত’ থাকার কারণে তিনি একটা সময় হাতাকাটা ব্লাউজ পরতে লজ্জা পেতেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই মা-কে দেখে শখ ছিল হাতকাটা ব্লাউজ পরার। একটা সময় বুঝলেন, লোক নিন্দে করবেই। কিন্তু তার জন্য নিজের ইচ্ছেকে দমন করার কিছু নেই।
একইভাবে কিছু সময় মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিতে হয়েছে তাঁকে। অনেকেই এসব নিয়ে কথা বলতে প্রকাশ্যে লজ্জা পান। কিন্তু স্বস্তিকা বিশ্বাস করেন, শরীরের সমস্যার মতো মানসিক সমস্যা নিয়েও প্রকাশ্যে কথা বলা যায়। কারণ ব্যাপারটা খুব সাধারণ। তাই লুকিয়ে রাখার দরকার নেই।