মুক্তি পেয়েছে রণদীপ হুডা অভিনীত ছবি ‘স্বতন্ত্র বীর সভারকার’-এর ট্রেলার। বিনায়ক দামোদর সভারকরের উপর ভিত্তি করে নির্মিত ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রণদীপ হুডা। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এই সিনেমাটির পরিচালনা ও প্রযোজনাও করেছেন। বহু বছর ধরেই এই ছবির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রণদীপ। অবশেষে প্রকাশ্যে এল ছবির ট্রেলার।
রণদীপ সেই মহান নেতার গল্প নিয়ে এসেছেন, যিনি ভারতকে স্বাধীনতা দিতে সামনে থেকে লড়াই করেছেন। যদিও সেই ইতিহাস সম্পর্কে খুব কম মানুষই সচেতন। ‘আমরা সবাই পড়েছি যে, অহিংসার মাধ্যমেই ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে। এটা সেই গল্প নয়।’, স্বতন্ত্র বীর সাভারকারের ট্রেলার শুরু হয় রণদীপ হুদার এই সংলাপ দিয়ে। ছবিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে সভারকর অখন্ড ভারতের জন্য লড়াই করেছিলেন। কীভাবে তিনি ভারতকে স্বাধীন করার জন্য তাঁর নিজের সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছিলেন এবং কীভাবে তিনি ব্রিটিশদের ভারত থেকে তাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁর এই বিপ্লবী মনোভাব ভয় ধরিয়েছিলে সেই সময়ের ইংরেজ শাসকদের মনে। সভারকরতে সহ্য করতে হয়েছিল ব্রিটিশদের অত্যাচার। তাঁকে দুবার কালা পানি-র শাস্তি দেওয়া হয়, জেলের মধ্যে অকথ্য অত্যাচার তো আছেই। সভারকর তবুও হাল ছাড়েননি এবং তার লড়াই চালিয়ে যান।
বীর সভারকরের চরিত্রে রণদীপ হুডা সম্পূর্ণ ন্যায় করেছেন। ট্রেলার দেখলেই বোঝা যায় যে তিনি এই চরিত্রে অভিনয় করেননি বরং এটি যাপন করেছেন। রণদীপ প্রতিটি দৃশ্যেই হয়ে উঠেছেন স্বাধীনতার জন্য প্রাণপণ লড়াই করা সভারকর। ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। তাকে সভারকারের স্ত্রী যমুনাবাইয়ের ভূমিকায় দেখা যায়। নিজের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেছেন বিগ বসের প্রাক্তন প্রতিযোগী অঙ্কিতাও।
রণদীপ হুদার ছবি স্বতন্ত্র বীর সাভারকার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ২২ মার্চ। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন রণদীপ নিজেই। পরিচালক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে তাঁর এই সিনেমার মাধ্যমে। ছবিটির প্রযোজকও তিনি।
সভারকর-কে বলা হয় ‘হিন্দুত্বের জনক’। লোকসভা ভোটের আগে তাই অনেকেই এটিকে বিজেপির প্রোপাগণ্ডা সিনেমা হিসেবে ধরেছেন। তবে ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে রণদীপ দাবি করেন, ‘এটি কোনও প্রোপাগন্ডা ফিল্ম নয়। এই ছবির লক্ষ্য রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর সভারকরের বিরুদ্ধে ছড়ানো মিথ্যে অপপ্রচারের মুখ বন্ধ করা।’ সভারকর প্রাণভিক্ষে করেছিলেন ইংরেজ সরকারের কাছে। রণদীপের দাবি, সেই সময় অনেক বিপ্লবীই তেমনটা করেছিলেন। আর সেটা দেখানো হয়েছে এই সিনেমাতে। অভিনেতার দাবি, সেলুলার জেল থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন কারণ দেশের মানুষের জন্য আরও কাজ করা বাকি ছিল তাঁর।