টলিপাড়ার সুন্দরী অভিনেত্রীদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠতা নতুন নয়। বহুবার অভিনেত্রীদের সঙ্গে ভাইরাল হতে দেখা গিয়েছে মদন মিত্রের ছবি ও ভিডিয়ো। সম্প্রতি, অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারে হাত ধরে BMW গাড়িতে বসে থাকতে দেখা যায় মদনকে। নিজেই ছবি পোস্ট করেছিলেন মদন মিত্র। ব্যস, এই ছবি সামনে আসতেই আলোচনা শুরু।
মদন-মধুমিতার ছবি নিয়ে নেটপাড়ায় আলোচনায় শেষ নেই, ভ্রু কুঁচতে সমালোচনা করতেও ছাড়েননি একাংশ। তবে এসবে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ মদন। নিজেকে রামকৃষ্ণ দেবের সঙ্গে তুলনা করে মদন মিত্র বলেন, ‘আমি রামকৃষ্ণের মতো, দুধটুকু নিয়ে নি, জল ফেলে দি। অর্থাৎ প্রশংসাকে যেমন গ্রহণ করি, তেমনই সমালোচনা, নোংরামোকে দূরে ফেলে দি।’ মধুমিতা সরকারের প্রশংসা করে মদন মিত্র বলেন, ‘ও অভিনেত্রী হিসাবে অসাধারণ। স্টারডমের নিরিখে ১ নম্বর হওয়ার দিকে এগোচ্ছে ও। মধুমিতা খুবই বোল্ড। এবার জাতীয়স্তরে পা রাখতে চাইছে, গতকাল-ই ও হায়দরাবাদ গিয়েছে, ওকে শুভেচ্ছা জানাই।’
আরও পড়ুন-'দীর্ঘদিন বিছানায় শয্যাশায়ী ছিলাম…', অসুস্থতা কাটিয়ে সিরিয়ালের সেটে অঞ্জনা বসু
আরও পড়ুন-গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে শারীরিক জটিলতা, হাসপাতালে ভর্তি করা হল অভিনেত্রী নেহাকে
মধুমিতা প্রসঙ্গে মদন মিত্র আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস-ই করিনি ও BMW চাালাতেে পারে। কিন্তু দেখলাম দিব্বি চালালো। যতটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গাড়ি চালালো আমি অবাক! অনেকটা লড়াই করে তবে আজ ও সফল অভিনেত্রী।’
মধুমিতা সরকারের হাত ধরা নিয়ে নেটপাড়ার একাংশের সমালোচনা প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন.'হাত ধরা তো অন্যায় নয়। আমার ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ মহিলা। তার মধ্যে আবার ৭২ শতাংশ ১৮-২৫ বছর বয়সী। আই লাইক ইট, আমি তাই চিন্তিত নই।' পাশাপাশি মদন মিত্রে বার্তা, ‘আমি চাই রাজ্যে সব মহিলা BMW চালাক, আমরা যা পারিনি, তা ওঁরা করে দেখাক।’
এর আগে মদন মিত্র আরও এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সম্পর্ক তো আছেই, তা নাহে আর দেখা যাবে কেন! শুধু মধুমিতা কেন, অনেকের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক আছে। সামনেই মুক্তি পাবে আমার সিনেমা। লিড ক্যারাক্টর করছি নাম, ও লাভলি’। এদিকে মধুমিতা সরকারকেও কটাক্ষ করে নেটপাড়ার একাংশ 'আঙ্কেল চিপস' বলে আক্রমণ করে। কিছুদিন আগেই BMW গাড়িটি কিনেছেন মধুমিতা সরকার, তা নিয়েও কিছু কম প্রশ্ন ওঠেনি।