সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোটবেলার ৩টি ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন এই টলিউড অভিনেতা। প্রথমটি সোয়েটার পরে তোলা রেল ইঞ্জিনের সামনে। পরেরটি একটু বড় বয়সে। খুব সম্ভবত কোনও জন্মদিনের পার্টিতে কেক খাওয়ানোর মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। আর তৃতীয়টি স্কুলের পোশাক পরে।
ছবি দেখে চিনতে কি পারলেন আপনি কে এই খুদে। বলে রাখি, সিনেমা সিরিয়াল ওয়েব সিরিজ সর্বত্রই বিরচণ আছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়, গত বছর একটি নাচের রিয়েলিটি শো-এর সঞ্চালকও ছিলেন তিনি।
নিন দেখুন অভিনেতার শেয়ার করা ছবিগুলি-
অভিনেতা বিক্রম ছবি তিনটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে তাতে লাইক আর কমেন্টের বন্যা। শুধু অনুরাগীরা নয়, ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরাও বিক্রমের পোস্টে এসে কমেন্ট করে গিয়েছেন। ঐন্দ্রিলা সেন লিখলেন, ‘আর এখন? থাক নাই বা বললাম’। সঙ্গে একগুচ্ছ হেসে চোখে জল চলে আসার ইমোটিকন। দর্শনা বণিক লিখলেন, ‘গুড লুকিং’। সম্পূর্ণা লাহিড়ির মন্তব্য, ‘মুখটা দেখেই মনে হচ্ছে বড় হয়ে খুব বদমাইশ হবে’।
প্রথম কাজ ২০১০ সালে সাত পাকে বাঁধা, বিপরীতে ছিলেন ঐন্দ্রিলা সেন। তবে ২০১৫ সালে ‘ইচ্ছে নদী’ ধারাবাহিকে শোলাঙ্কি রায়ের সঙ্গে তাঁর জুটি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছয়। খুব জনপ্রিয়তা পায় এই ধারাবাহিক। এরপর ঐন্দ্রিলার সঙ্গে ফের জুটিতে ‘ফাগুন বউ’-ও কম খ্যাতি দেয়নি বিক্রমকে।
২০১৭ সালে বড় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিক্রম। রাসবিহারী মোড়ের কাছে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর গাড়ি। সেই সময় বিক্রমের সঙ্গে ছিলেন জনপ্রিয় মডেল সনিকা সিংহ চৌহান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সানিকাকে মৃত ঘোষণা করে ডাক্তাররা। চোট পেয়েছিলেন বিক্রমও। পুলিশের কাছে মদ্যপানের কথা কবুল করে নিয়েছিলেন অভিনেতা। এরপর প্রমাণ হয় গাড়ির গতিও ছিল বেপরোয়া। গ্রেফতারও করা হয়েছিল সেই সময় বিক্রমকে। ২৭৯ ধারায় জোরে গাড়ি চালানোর জন্য, ৩৩৮ ধারায় অন্যের ব্যক্তিগত ক্ষতি করার জন্য, ৪২৭ ধারায় অন্যের সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য ও ৩০৪ এ ধারায় চালকের গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ ছিল তাঁর উপর।
তবে এই বিতর্কের রেশ এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন। ইচ্ছে নদী ধারাবাহিকের কাজ এই কারণে মাঝপথেই ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। তারপর আর ফেরেননি সিরিয়ালে। তবে কুলের আচার, শহরের উষ্ণতম দিনের মতো সিনেমায় তাঁকে পছন্দ করেছে দর্শক। তানসেনের তানপুরা, রক্তকরবী ওয়েব সিরিজও পেয়েছে জনপ্রিয়তা।