গল্পের বইয়ের পাতা থেকে পর্দায় কে কাকে শায়েস্তা করবে তা নিয়ে পরিকল্পনা ভাঁজা থেকে শুরু করে চলতো একে অন্যকে নাস্তানাবুদ করার ফন্দিফিকির।হগওয়ার্টস স্কুলের 'গ্রিফিন্ডর' দলের সদস্য হয়েও দু'জনে বিভক্ত ছিল দু'দলে। ছিল বন্ধু সমর্থকদেরও লম্বা ভিড়। এবার শোনা গেল সেই 'ড্র্যাকো ম্যালফয়' এবং 'হারমায়নি গ্রেঞ্জার' চুটিয়ে প্রেম করছে! 'রিয়েল লাইফ'-এ নাকি সম্পর্কেও রয়েছেন তাঁরা।২০১৯ সালে ইনস্টাগ্রামে টম ফেল্টনের আপলোড করা একটি পোস্টের ছবি থেকেই এমন গুঞ্জনে মুখর হয়েছে হলিউডের অলি-গলি। খবর কানে পৌঁছতেই নড়ে চড়ে বেসেছে হ্যারি পটার অনুরাগীরাও। আসলে, হ্যারি পটার গল্পের কিংবা সিনেমাপ্রেমী মাত্রই জানেন জে কে রাওলিংয়ের লেখা বিশ্ববিখ্যাত 'হ্যারি পটার' সিরিজের অন্যতম দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ড্র্যাকো ম্যালফয় এবং হারমায়নি গ্রেঞ্জার। ছবিতে এই দুই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যথাক্রমে টম ফেল্টন এবং এমা ওয়াটসন।
বেশ কিছুদিন ধরেই টম এবং এমার সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তা নিয়ে বিস্তর আলোচনাও শুরু হয়েছে 'পটারহেডস'-দের মধ্যেও।এতদিন চুপ থাকলেও শেষপর্যন্ত এই ব্যাপার নিয়ে মুখ খুলেছেন 'ড্র্যাকো ম্যালফয়' চরিত্র খ্যাত অভিনেতা 'ড্র্যাকো ম্যালফয়' স্বয়ং। সম্প্রতি, এন্টারটেইনমেন্ট টাইমস পোর্টালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা জানিয়েছেন তিনি এবং এমা বহুবছর ধরেই পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। তাঁদের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক যাকে এককথায় বলে বেশ জমাটি। 'আমার এমাকে যথেষ্ট ভালো লাগে। সম্মানও করি। মানুষ হিসেবেও সে দুর্দান্ত!' সাফ কথা 'ড্র্যাকো'-র। তবে বক্তব্যের শেষে মজা করে তাঁর সংযোজন, 'আশা করি এবার আমার ব্যাপারেও পাল্টা ভালো কিছু প্রশংসা করবে ও!'
তবে তাঁদের সম্পর্কের প্রসঙ্গে টম মজার ছলে বলেছেন যে তাঁদের গোটা বিষয়টি 'গ্রিফিন্ডর' ব্যাপার স্যাপার। তবে অনেক ছোট থেকে এমাকে দেখা সত্ত্বেও বর্তমানে একজন অভিনেত্রী ও মানুষ হিসেবে নিজেকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছে সে, তা দেখে মুগ্ধ টম। পাশাপাশি 'হ্যারি পটার' সিরিজের বাকি মুখ্যাভিনেতা যেমন ড্যানিয়েল র্যাডিক্লিফ, রুপার্ট গ্রিন-দের সঙ্গে এখনও দারুণ যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। সময় পেলেই দেখা করে চুটিয়ে আড্ডা মারেন তাঁরা।
অন্যদিকে, ২০১১ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এম নিজেই জানিয়েছিলেন একসময় টম তাঁর 'ক্রাশ' ছিলেন। ভীষণ পছন্দ করতেন তিনি তোমাকে। এরপরেই হাসতে হাসতে বলেছিলেন যে বর্তমানে তিনি ও টম বেশ ভালো বন্ধু। 'ক্রাশ' প্রসঙ্গ নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাঁদের মধ্যে হাসাহাসি চলে।