শোকস্তব্ধ, বাকরুদ্ধ বরুণ ধাওয়ানের বুধবার দেখা মিলল তাঁর ড্রাইভার মনোজ সাহুর শেষকৃত্যে। ছেলেবেলা থেকে মনোজ দাদা-কে হামেশা পাশে পেয়েছেন বরুণ। গত ২৬ বছর ধরে ধাওয়ান পরিবারের বিশ্বস্ত কর্মী মনোজ। মঙ্গলবার আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন বরুণের ড্রাইভার। তাঁর শেষকৃত্যে কান্নাভেজা চোখে দেখা মিলল বরুণ ও তাঁর দাদা রোহিত ধাওয়ানের।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বরুণকে নিয়ে মেহবুব স্টুডিওতে পৌঁছেছিল মনোজ। সেখানে একটি বিজ্ঞাপনী শ্যুটে হাজির হয়েছিলেন ‘জুড়ুয়া ২’ অভিনেতা। সেখানেই বুকে যন্ত্রণা অনুভব করেন মনোজ, দ্রুত তাঁকে লীলাবতি হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিনেতার টিম। মেহবুব স্টুডিও থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত এই মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিত্সকরা শুরুতেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়েই শ্যুটিং ছেড়ে লীলাবতি হাসপাতালে দৌড়ান বরুণ, পৌঁছান ডেভিড ধাওয়ানের বড় ছেলে রোহিতও।
মঙ্গলবার রাতে হাসপাতাল চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বরুণ। বুধবার ইনস্টাগ্রামে মনোজ দাদা-কে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান বরুণ। হংকং-এর মাদাম তুসো জাদুঘরে বরুণের মোমের মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে মনোজ দাদাকে মঞ্চে ডেকে নিয়েছিলেন বরুণ, ২০১৮ সালের সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে বরুণ লেখেন ‘আজীবন মনোজ দাদা আমার সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছে, আমাকে আগলে রেখেছে। আমার জন্য সব কিছু ছিল ও। আমার জার্নির সব ধাপে সঙ্গে দিয়েছে… ওর রসবোধ আর প্যাশন মনে থাকবে… মনোজ দাদা আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ সবকিছুর জন্য’।
বরুণের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, মনোজের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বরুণ। তাঁকে সামলানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন স্ত্রী নাতাশা, বাবা ডেভিড ধাওয়ান। ধাওয়ান পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত মনোজ বরুণের কেরিয়ারের শুরু থেকে তাঁর ব্যক্তিগত ড্রাইভার হিসাবে কাজ করছে। প্রয়াত কর্মীর পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নি্জের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বরুণ। তাঁর স্ত্রী, সন্তানদের দেখভালের জিম্মা এখন থেকে বরুণ ধাওয়ানের।