সোশ্যাল মিডিয়ায় গত বছর থেকেই চর্চায় নন্দিনী দিদি। কলকাতার অফিসপাড়া, ডালহৌসি চত্বরে পাইস হোটেল চালান এই সুন্দরী। জিনস আর টি-শার্টে রাস্তার ধারে ভাতের হোটেল চালিয়ে হিট নন্দিনী। তাঁর আসল নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পড়াশোনা নিয়ে একাধিক তথ্য মজুত ইন্টারনেটে। আসলে নিজের মুখেই মমতা দেবী কখনও বলেছেন তিনি ফ্য়াশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, আবার কখনও জানিয়েছেন এমবিএ-র ডিগ্রি রয়েছে। তবে তর্ক-বিতর্ক যতই থাক, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসেন ‘স্মার্ট দিদি’ নন্দিনীর হাতের মটন-ভাত থেকে। দিন দিন লাফিয়ে বেড়েছে নন্দিনীর দোকানের বিক্রি। আরও পড়ুন-‘এখন সপ্তাহে ৪ দিন মটন ভাত খাই!’ নন্দিনী নাকি ‘অহংকারী’, এক হাত নিল অ্যান্টি ভাই
সপ্তাহখানেক আগে এক প্রৌঢ়কে চড় মেয়ে চর্চায় উঠে এসেছিলেন নন্দিনী। প্রকাশ্য রাস্তায় বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার, কর্মীকে অপমান করার পর ফের কাণ্ড ঘটালেন নন্দিনী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মমতা ওরফে নন্দিনীর একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা যাচ্ছে নিজের দোকানের এক কর্মীর সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করছেন নন্দিনী। স্মার্ট দিদির ভয়ে রীতিমতো গুটিয়ে গিয়েছে সে। তাঁর পিঠে হাত চাপড়ে নন্দিনীকে হিন্দিতে বলতে শোনা গেল, ‘আমার মাথায় চড়ে নাচছিস ঠিক আছে, কিন্তু আমার বাবার সম্মান নিয়ে খেলা করার অনুমতি তো আমি আমার বাবাকেও দিইনি’।
এরপর নন্দিনী দিদি বলেন, ‘তুই আমার বেইজ্জতি কেন করাচ্ছিস, আমি বলেছি তোকে ওই দোকানে যেতে? সাহস দিনদিন বেড়েই চলেছে। (ওই কর্মীর মাথা চাঁটি মারতে মারতে) আমার থেকে কেয়ারফুল… যা বসে খেয়ে নে এবার’। পর মুহূর্তেই দাঁত বার করে হাসতে দেখা যায় নন্দিনী দিদিকে। ঠিক কী কারণে ওই কর্মীর উপর মেজাজ হারান নন্দিনী তা স্পষ্ট না হলেও বোঝা গেল কথা না শোনার জেরেই ওই কর্মীর উপর রেগে কাঁই হয়ে রয়েছেন নন্দিনী দিদি।
ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনে নন্দিনীকে তুলোধনা করেছেন বেশিরভাগই।একজন লেখেন- ‘ফুটপাত দখল করে দোকান চালাচ্ছে আবার বড্ড কথা’, অপর একজন লেখেন, ‘রাণু মন্ডল ২’। আরেক জন কটাক্ষের সুরে লেখেন-'অসম্ভব ভালো অ্যাক্টিং, মহানায়িকা পুরস্কার আপনার প্রাপ্য়'। অনেকের ধারণা ভাইরাল হতেই অকারণে নাটক করছিলেন নন্দিনী। তবে অনেকেই ‘অহংকারি’ বলে বিঁধতে ছাড়েননি তাঁকে। কেউ আবার ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’ বলে নন্দিনীর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।