মিমির জন্য কেমন পাত্র চাই? এবার সেই মিলিয়ন ডলার প্রশ্নের উত্তর দিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ নিজেই। তবে নুসরতও কিন্তু বেশ কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন। দুই নায়িকার বন্ধুত্ব টলিপাড়ায় কারুর অজানা নয়। একে অপকে ‘বোনুয়া’ বলে ডাকেন তাঁরা। দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে এসে বোনুয়ার পাত্র নিয়ে জবাব দিলেন নুসরতও।
নুসরতের কথা মিমির পাত্রের নাকি একটা লম্বা লিস্ট রয়েছে। এত ক্রাইটেরিয়া যে ছেলেই নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে মিমি জানিয়েছেন তাঁর কেমন পাত্র চাই। মিমির পছন্দ অনুযায়ী পাত্রের মধ্যে সবথেকে জরুরি জিনিস, সেই মানুষটাকে মাটির কাছের মানুষ হতে হবে। মানুষটা খাঁটি এবং ভালো মানুষ অবশ্যই হতে হবে। মিমির বাবা মা’কে তাঁর নিজের বাবা মা হিসেবেই দেখতে হবে তাঁকে। এগুলো সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এরপরই নুসরত বললেন, ‘দারুণ দেখতে একটা ছেলে খুঁজছি আমরা। ইন্টারন্যাশ্যানাল লেবেলের লুক হতে হবে’। রচনা পালটা বলেন, কিন্তু বাঙালি হতে হবে। ফলে একটা ইন্টারন্যাশান্যাল লোককে ধরে এনে ধুতি পাঞ্জাবি পরিয়ে দিলেই হবে আর কি'। এরই মধ্যে মিমিকে দেখা যায় বোনুয়া নুসরতে বার বার চুপ করাতে। যদিও এসব কথা বলতে গিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছিলেন মিমি।
জি বাংলার অফিসিয়্যাল সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে এই ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘বিয়ের জন্য কেমন পাত্র পছন্দ মিমির, দিদি No.1 এর স্পেশাল ধামাকা পর্বে শুনুন সেই কথা’। প্রসঙ্গত, রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ব্রেকআপের পর মাঝে কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর- মিমির লাভ লাইফে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেও খুব বেশ কিছু জানা যায় না। নায়িকার মতে, তিনি ভীষণরকমভাবে সিঙ্গল। তবে একথা ভুললে চলবে না, মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে কিন্তু বছর চারেক আগে তুরস্কের লাইন প্রোডিউসার মিলি গুলহানের সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তের ‘গ্যাংস্টার’ ছবির শ্যুটিংয়ে গিয়ে ২০১৬ সালে আলাপ হয় এই জুটির। তুরস্কের জনপ্রিয় লাইন প্রোডিউসার ইলহান-এর ছেলে মিলি গুলহান কিজিলকায়া। তুরস্কের বোদরুমে নুসরত জাহানের বিয়েতেও একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল মিমি-মিলিকে। এ কথা ভুললেও চলবে না মিমি তাঁর ডেব্যিউ অ্যালবাম ‘আনজানা’র শ্যুটিং করেন তুরস্কে। নায়িকার টার্কি যোগ কিন্তু নেহাত মন্দ নয়। তবে নুসরতের এই বক্তব্যের মধ্যে মিমির লাভ লাইফ নিয়ে লুকানো কোনও ইঙ্গিত রয়েছে?