শীতের শুরু মানেই ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন রোগের বাড়বাড়ন্ত। তাই শুরু থেকেই দরকার অতিরিক্ত সতর্কতা। এই সময় পরিবারের সব সদস্যদের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখতে হয়। ঠান্ডার প্রকোপ এড়াতে গরম জামাকাপড়ের পাশপাশি খাওয়াদাওয়াতে পরিবর্তন আনতে হয়। তবে শীতে মানুষের পাশাপাশি পোষ্যরাও নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই এই সময় তাদেরও প্রয়োজন অতিরিক্ত যত্নের। ওদের যাতে ঠান্ডা না লাগে, তাই অনেকেই গরম জামাকাপড় পরিয়ে রাখেন। তবে এর পাশাপাশি আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখা দরকার।
স্মল অ্যানিমাল ক্লিনিকের ভেট সার্জেন ডাঃ নরেন্দ্র পারদেশী জানাচ্ছেন শীতের কয়েকটি রোগের কথা। শীত পড়লে আপনার পোষ্যের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
১. হাইপোথার্মিয়া: দীর্ঘক্ষণ কম তাপমাত্রায় থাকলে পোষ্যের শরীরের তাপমাত্রাও কমতে থাকে। কমতে কমতে এক সময় তা স্বাভাবিকের নিচে নেমে যায়। পোষ্যকে এই সময় কাঁপতে দেখা যায়। সে সহজেই দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমনকি ওর মন খারাপ হতেও দেখা যায়। এমন লক্ষণ দেখা দিলে এড়িয়ে না গিয়ে পোষ্যের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. ফ্রস্টবাইট: শীতে পোষ্যের দেহে অনেকসময়ই ফ্রস্টবাইট দেখা যায়। এই সমস্যায় পোষ্যের শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়। এর ফলে টিস্যুগুলোর মধ্যে বরফ জমতে থাকে। এই বরফগুলো টিস্যুর কার্যক্ষমতাও নষ্ট করে দেয়। এই রোগের লক্ষণ হল ক্লান্তিভাব, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, ঝিমুনি ভাব। এমন লক্ষণ দেখা দিলে পোষ্যকে গরম লেপে মুড়ি দিয়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার।
৩. সর্দি: ঠান্ডার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ফুসফুসের। ফুসুফুসে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ছড়ালে নাক থেকে জল পড়া, হাঁচি ও কাশির মতো লক্ষণ দেখা যায়। পোষ্যের মধ্যে এমন লক্ষণ দেখা দিলে তাকে গরম লেপে মুড়ি দিয়ে রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি এই সময় গরম পানীয় ও প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ানোও জরুরি। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু অ্যান্টিবায়োটিকও খাওয়ানো জরুরি।
৪. ফ্লু: আপনার পাশাপাশি পোষ্যও এই সময় ফ্লু-এর ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। জ্বর, শুকনো কাশি, হাঁচি ও নাক থেকে জল পড়া এই রোগের লক্ষণ। লক্ষণগুলো দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৫. আর্থ্রাইটিস: ঠান্ডা পড়লেই পোষ্যের শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হতে থাকে। এমনকি ফুলে যেতে পারে ব্যথার স্থানও । চিকিৎসকের পরিভাষায় একেই আর্থ্রারাইটিস বলে। এই লক্ষণ দেখা দিলে পোষ্যের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।