মুখের বিভিন্ন অংশে ব্রণ প্রায়ই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বয়সন্ধিতে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এর জন্য টিনএজারদের কম অস্বস্তিতে পড়তে হয় না। লোকে কী ভাববে সেই নিয়ে সারাক্ষণ মনে একটা ভয় কাজ করে। তবে ঘরোয়া উপায়েই ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
সকালের সূর্যের আলো শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী, এমনটাই মনে করেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা। সূর্যরশ্মি আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি কিছু হরমোনের ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করে। সকালে নিয়ম মেনে সূর্যের আলোয় থাকলে কমতে পারে ব্রণর সমস্যা। সূর্যালোক ব্রণ হওয়ার কারণগুলোকে নির্মূল করে।
ব্রণ কেন হয়?
স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল ব্রণ হওয়ার প্রধান একটি কারণ। এই হরমোনটির ভারসাম্য ঠিক না থাকলে ব্রণ দেখা দিতে থাকে। এছাড়াও বাইরের ধুলোবালি ছোটদের সংবেদনশীল ত্বককে সহজে আক্রমণ করে। এর থেকেও ব্রণ হতে পারে। ত্বকের নিচে থাকা সেবেসিয়াস গ্ৰন্থি থেকে সিবাম ক্ষরিত হয়ে ত্বক জমতে শুরু করলে ব্রণ দেখা দেয়।
কীভাবে সূর্যের আলো ব্রণ সারায়?
- কর্টিসল বৃদ্ধি: ঘুম ভাঙার পর প্রথম এক ঘন্টা শরীরে কর্টিসলের পরিমাণ বেশি থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্যের আলোয় থাকলে কর্টিসলের ক্ষরণ বেড়ে যায়। প্রথম ৩০ মিনিট বেড়ে যাওয়ার পর নিজে থেকেই হরমোনের ক্ষরণ কমতে শুরু করে। সূর্যের আলো না থাকলে সহজে ঘুম ভাঙে না, অসময়ে বিছানা ছাড়ার অভ্যাস হয়ে যায়। এতে কর্টিসলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ব্রণর সমস্যা যার ফলে বেড়ে যায়।
- গভীর ঘুম: মোবাইল আর ইন্টারনেটের চাহিদা টিনএজারদের কম ঘুমোনোর প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘুম ঠিকমতো না হলে কর্টিসলের ক্ষরণ বাড়তে থাকে। এর ফলে বেড়ে যায় সিবাম উৎপাদন। তাই সঠিক সময়ে ঘুমোনো ও রোজ পর্যাপ্ত ঘুম ব্রণ কমানোর জন্য জরুরি। সূর্যের আলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঘুম ভাঙায়। এতে রোজ ঘুম আর জেগে থাকার রুটিনটি ঠিক থাকে। কম ঘুমোলে ত্বকের আর্দ্রতাও কমে যায়। এই কারণেও ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে।
- ভিটামিন ডি: বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা ব্রণ সমস্যায় ভোগেন তাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ অনেক কম। সূর্যের আলো শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে। কোনও এসপিএফ ক্রিম ছাড়া রোজ সূর্যের আলোয় ২০ মিনিট দাঁড়ালে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কমবে।
কোন সময় সূর্যের আলো শরীরের জন্য ভালো?
সকালে ১১ টার আগে ও দুপুরে ২ টোর পর সূর্যের আলোর তেজ অনেকটা কম থাকে। এই সময়েই সূর্যের আলোয় থাকা উচিত।