অরুণ যোগীরাজের তৈরি রামলালার মূর্তিতেই হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা। ঘোষণা করলে অযোধ্যা রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। হয়েছিল ভোটাভুটিও। অযোধ্যা টেম্পল ট্রাস্টের তরফে দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা ও সিদ্ধান্তগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছিল। অবশেষে তাতে সিলমোহর পড়ল। অরুণ যোগীরাজের তৈরি রাম লালার মূর্তিতেই প্রাণ প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। শুধু বলেই ক্ষান্ত হননি তিনি। তিনি অরুণ যোগীরাজের সঙ্গে তাঁর তৈরি রাম লালার মূর্তির একটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।
আজ সেই কৃতি ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের গল্প রইল। অরুণ যোগীরাজ কর্ণাটকের মানুষ। ছ'মাস অযোধ্যায় রামলালা মূর্তি তৈরি থেকে শুরু করে প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজ সুসম্পন্ন করার পর ইতিমধ্যে তিনি পৌঁছেছেন বেঙ্গালুরু হয়ে মহীশূর (Mysore)। যেখানে অরুণকে পুষ্পমালা ও মহীশূরের 'পেটা' দিয়ে বরণ করা হয়েছে; যা ভারত সহ বিশ্ব বিখ্যাত।
অরুণ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সে এবং তার পরিবার সর্বদাই তাদের কাজকে ভীষণ শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে করে। তার পূর্বপুরুষরাও বিগত ২৫০ বছর ধরে ভাস্কর্য কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তার অন্যতম কারণ তাঁরা বিশ্বকর্মা কমিউনিটির।
যোগীরাজ এও জানান, সুদূর ভবিষ্যতে অযোধ্যায় যদি অন্য কোন প্রোজেক্টেও তার দরকার পরে, তবে সে সানন্দে সেই প্রোজেক্টের নিজের অংশীদারত্ব করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি দেশের সেবা করতে চাই। আমি এমন ভাস্কর্য তৈরি করতে চাই যা মানুষের হৃদয়ের কাছে থাকবে। যা দেখে মানুষ আহ্লাদিত হবে।’
এদিন সংবাদমাধ্যমে অরুণ জানান তিনি তার বাবাকে ভীষণভাবে স্মরণ করেন। কারণ তার বাবাই তার প্রথম শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘বাবা আমার সঙ্গে রয়েছেন। তিনি আমাকে সর্বদা ওপর থেকে আশীর্বাদ করেন। আমি তার প্রত্যেকটি স্বপ্নকে বাস্তব করার চেষ্টা করব। এমনকি সবরকম নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে চলেছিলাম যখন আমি রামলালার মূর্তি তৈরি করছিলাম।’
এছাড়াও অরুণের পরিবার সূত্রে খবর, মহীশূরের রাজ পরিবারের তরফে যদূবীর কৃষ্ণদত্ত চমরাজা ওয়াদিয়র (Yaduveer Krishnadatta Chamaraja Wadiyar) অরুণের সঙ্গে মহীশূর প্যালেসে ঘণ্টাখানেক আলাপচারিতা করেন। যা যথেষ্ট আনন্দের বলেই জানিয়েছেন যোগীরাজ।