সময় বাঁচানোর জন্য অনেকেই একবার বেশি খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেন এবং বেশ কয়েকদিন সেই খাবার গরম করে খান। অনেক খাবারই আছে যা বার বার গরম করা উচিত নয়। এ ধরণের খাবার নিজের স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিকর উপাদানও হারিয়ে ফেলে ও নানান রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। জানুন কোন খাবার বার বার গরম করে খাওয়া উচিত নয়।
1/7 মুরগির মাংস- প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস এটি। কিন্তু বাসী মুরগীর মাংস গরম করে খেলে তার মধ্যে উপস্থিত প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।
2/7 ডিম- প্রোটিনের অভাব থাকলে, ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু ডিমকে বার বার গরম করে খেলে তা ধীরে ধীরে বিষাক্ত হতে শুরু করে। বিশেষত সিদ্ধ ডিমকে দ্বিতীয়বার গরম করে খাওয়া উচিত নয়। এটি ব্যক্তির পাকতন্ত্রের ওপর কুপ্রভাব ফেলে। উল্লেখ্য, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারে অধিক পরিমাণে নাইট্রোজেন থাকে। বার বার গরম করলে এতে পরিবর্তন ঘটে।
3/7 ভাত- অনেকে বেঁচে যাওয়া ভাতকে গরম করে খান। কিন্তু এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী নয়। ফুডস স্ট্যান্ডার্স এজেন্সি অনুযায়ী, বাসী চাল গরম করে খেলে ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে। এমন করলে চালে ব্যাসিলস সেরেস নামক অত্যধিক প্রতিরোধী ব্যাক্টিরিয়ার উপস্থিতি দেখা যায়। ভাত রান্নার সময় ব্যাক্টিরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু চাল ঠান্ডা হয়ে গেলে নতুন করে জীবাণু সৃষ্টি হতে শুরু করে। তাই ফের গরম করলে ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
4/7 আলুর তরকারি- ভিটামিন বি-৬, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি-র উল্লেখযোগ্য উৎস আলু। আলুর তরকারি বার বার গরম করলে এতে ক্লোস্ট্রিডিয়ম বোটুলিনম নামক ব্যাক্টিরিয়া জন্মায়। শুধু তাই নয়, আলুর তরকারি অনেকক্ষণ পর্যন্ত রেখে দেওয়ার পর গরম করে খেলে তাতে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। এটি ব্যক্তির পাকতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।
5/7 মাশরুম- মাশরুম রান্নার সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নেওয়া উচিত। পরের দিন খাওয়ার জন্য তা রাখা উচিত নয়। মাশরুম প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজও থাকে। কিন্তু বার বার মাশরুম গরম করে খেলে প্রোটিন ভেঙে যায় ও বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন হয়।
6/7 পালক- পালক অথবা কোনও শাকপাতা, গাজর, টার্নিপ বা জোয়ান, যাতে অধিক পরিমাণে নাইট্রেট থাকে, সেগুলিকে মাইক্রোওয়েভে গরম করবেন না। নাইট্রেট যুক্ত সবজি দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে এটি নাইট্রাইট ও পরে নাইট্রোজমিন্সে পরিণত হয়। এগুলি ক্যান্সারের আশঙ্কা বৃদ্ধি করে।