এ বছরের গোড়া থেকেই শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ দেওয়া। শুধু তাই নয়, ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে যারা, তাদের টিকাকরণও শুরু হয়েছে। কিন্তু এবার টিকার নীতি বদলাতে পারে। তেমনই শোনা যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত কারা পাচ্ছেন বুস্টার ডোজ? সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও বুস্টার ডোজ পাবেন সেই সব মানুষ, যাঁদের বয়স ৬০ বছরের উপর এবং যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে। কিন্তু সেই নীতি এবার বদলাতে পারে। তেমনই শোনা যাচ্ছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি অফিসার হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, কাদের বুস্টার দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্তে বদল আসতে পারে। তাঁর কথায়, ‘যখন বুস্টার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তখন সরকারও দেখতে চাইছিল, পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকার জোগান থাকে কি না। এখন দেখা যাচ্ছে, টিকার ঘাটতি নেই। ফলে এই সিদ্ধান্ত কিছুটা বদলাতে পারে।
তাঁর কথায়, National Technical Advisory Group on Immunisation (NTAGI)-এর বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই প্রিকশন ডোজ এবং সাধারণ ডোজের পরিসীমাটা বাড়াতে চান। অর্থাৎ আরও বেশি মানুষকে টিকাকরণের অন্তর্ভূক্ত করতে চান। সেক্ষেত্রে কী হতে পারে?
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এই আধিকারিকের কথায়, ৬০-এর ঊর্ধ্বে যাঁদের কো-মর্বিডিটির সমস্যা আছে, তাঁদেরই বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই কো-মর্বিডিটির শর্তটি তুলে নেওয়া হতে পারে এবার। কারণ যেহেতু টিকার কোনও আকাল নেই, তাই ষাটোর্ধ্ব সকলকেই এবার টিকা দেওয়া হতে পারে।
কো-মর্বিডিটির কথা বলা হলেও, এখনও বুস্টার ডোজ নেওয়ার সময়ে তার কোনও প্রমাণ দেখাতে হচ্ছে না। তবে সেই শর্তটিই আর থাকতে না পারে, পুরোপুরি তুলে নেওয়া হতে পারে এবার। তেমনই বলছেন এই আধিকারিক।