কখনও পিরিয়ডয়ের সময়ে মানসিক ক্লান্তি এসে পড়ে, আবার মেনোপজের সময় মুড সুইং দেখা যায়, আবার কখনও গর্ভধারণের পথে এগোতে গিয়ে মুখরোচক খাবার অনেকেই খোঁজেন! বিশেষজ্ঞ ঋতুজা দ্বিবেদী বলছেন, মহিলাদের বিভিন্ন বয়সকালে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার মাঝে একটি খাবারের পদ খুবই সাহায্য করে থাকে। আর সেই পদটি হল সাবুদানা খিচুড়ি। ঋতুজা ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে মহিলাদের শারীরিক সমস্যা কাটিয়ে তোলে এই সাবুর খিচুড়ি।
জ্বর
জ্বর জ্বালা হয়ে থাকলে সাবুদানার খিচুড়ির বিকল্প কিছু হয় না। মেডিসিন শেষ হয়ে গেলে এক বাটি সাবুদানা খেয়ে ফেললেই ফের চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারেন যে কেউই। আর এই তালিকা থেকে অবশ্যই বাদ নন মহিলারা।
মেনোপজ
মেনোপজের সময় যাতে বাড়তি রক্তপাত না হয়, তার জন্য সাবুর খিচুড়ি অব্যর্থ খাবার। এছাড়াও এন্ডোমেট্রিওসিসের ক্ষেত্রেও মহিলাদের এই খিচুড়ি বহু শারীরিক উপকারিতা দিয়ে থাকে। যদি রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকে, তাহলে সপ্তাহে এই সময় একবার সাবুর খিচুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বন্ধ্যাত্ব দূর করতে
ঋতুজা দ্বিবেদী বলছেন, বন্ধ্যাত্ব দূর করতে সাবুর খিচুড়ির বিকল্প নেই। যখন একজন মহিলা গর্ভবতী হতে চান, তখন এই সাবুদানার খিচুড়ি খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও যদি কেউ নিজের ডিম্বাণু ফ্রিজ করার পথে হাঁটেন , সেই মহিলাদের ক্ষেত্রেও এই সাবুদানা খিচুড়ি কার্যকরী। যদি ইংজেকশন শুরু হয়, তাহলে সপ্তাহে ২ দিন সাবুদানা খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে।
মেনোপজ সংক্রান্ত সমস্যা
মেনোপজের আশপাশের সময়ে সাবুর খিচুড়ি কার্যকরী ফল দেয় মহিলাদের শারীরবৃত্তিয় ক্রিয়ায়। যদি এই সময় মাথা ধরার সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে একটি ছোট্ট বাটিতে খিচুড়ি নিয়ে মুখে তুললেই মিলবে আরাম! এছাড়াও ওভিয়্যুলেশনের সময়ও যদি স্পটিং দেখা যায়, তাহলে আরাম দিতে পারে সাবুর খিচুড়ি।
পরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা
যদি পিরিয়ড শুরুর আগে খাবার ইচ্ছা চলে যায়, অর্থাৎ প্রি মেনস্ট্রুলার সিন্ড্রোমের সপ্তাহে যদি খাবার ইচ্ছা চলে যায়, তাহলে দুপুরে দইয়ের সঙ্গে সাবুর খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে, বা ব্রেকফাস্টেও খেতে পারেন সাবুর খিচুড়ি। ঋতুজা বলছেন বিশ্বজোড়া বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাবুর খিচুড়ি মহিলাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ফলপ্রসূ বলে প্রমাণিত হয়েছে।