গরমে অল্পেই ক্লান্ত লাগা খুব একটা অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। বৈশাখের গরমের থেকেও জ্যৈষ্ঠের আবহাওয়া খুবই কাহিল করে তোলে! এমন পরিস্থিতিতে রোদে বের হলেই বাড়ি ফিরে এনার্জির কমতি অনুভব করেন অনেকে। নিউট্রিশিয়ানিস্টরা বলছেন, এমন কয়েকটি খাবার রয়েছে যা রোজের ডায়েটে রাখলে এনার্জির কমতি হবে না গরমে।
ব্রেক ফাস্ট ও তার আগে কী খাবেন?
ঘুম থেকে উঠেই গরমে খেয়ে নিন কল বের করা ছোলা ও মুগ। এছাড়াও জলে ভেজানো বাদাম খেয়ে নিতে পারেন সকালে। এই ধরনের খাবারে থাকে ভিটামিন, মিনারেল। থাকে ম্যাগনেশিয়াম। এতে এনার্জি বাড়ে, হজম ক্ষমতাও বেড়ে যায়। গরমের ক্লান্তি দূর করে দেয়। গরমের দিনের সকালের ব্রেকফাস্টে দুধ বা ডিম রাখতে ভয় পাবেন না। ডিম সেদ্ধ গরমে এনার্জি যোগাতে বাধ্য। দুধ ও ডিম একসঙ্গে শরীরে প্রোটিন, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম বাড়িয়ে দেয়। খালি পায়ে সবুজ ঘাসে হাঁটলে শরীরের কোন অংশটি ভাল থাকে জানেন! জরুরি টিপস দেখে নিন
গরমে কোন ফল এনার্জি দেয়?
গরমে শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করা মূল লক্ষ্য। এমন পরিস্থিতিতে তরমুজ, খরমুজ, আনারস,স্ট্রবেরি, আম শরীরের পক্ষে খুবই ভাল। বেলার দিকে বা দুপুরের খাবারের পর এই ফলগুলি খেলে পাবেন কাঙ্খিত এনার্জি। শরীরে থাকবে না ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। এছাড়াও ডাবের জল কিন্তু গরমের সারাদিনের ডায়েটে সপ্তাহে একবার রাখা প্রয়োজন।
লাঞ্চ কিম্বা ডিনারে কী রাখবেন?
গরমের দিনে হালকা নিম ঝোল খাচ্ছেন তো? তাতেই রয়েছে বহু তরিতরকারি। এছাড়াও রোগভোগ দূর করতে নিম ঝোলের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও লাউ, করলা, শসা রোজের লাঞ্চ ও ডিনারের ডায়েটে রাখুন। শরীরে প্রচুর, জল ও পটাশিয়াম সরবরাহ করে এই সবজিগুলি। কাশির ধরন কেমন হলে বুঝে নিতে হবে তা অ্যাস্থমার লক্ষণ? জানুন উপসর্গগুলি
গরমের বিশেষ টিপস:-
এছাড়াও সারাদিন ধরে লেবুর জল পান করতে থাকলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা মিটে যেতে পারে। বারে বারে গরমের দিনে খেতে হবে জল। মশলার মদ্যে দারচিনি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে গরমের ক্লান্তিভাব কেটে গিয়ে কাজে সবে মন। ফলে ঘুমঘুমভাব কাটিয়ে নিতে গরমে দারচিনি গুঁড়ো মুখে রাখুন।