কী হওয়ার কথা ছিল, আর কী হল! কথা ছিল, গানে-গানে দারুণ একটা রাত কাটতে চলেছে। মঞ্চে পারফর্ম করছিলেন বহু মানুষের প্রিয় গায়িকা হেলেন ফিশার। হাজির ছিলেন অসংখ্য অনুরাগী। তারই মধ্যে ঘটে গেল অঘটন। ভয়ঙ্কর ভাবে চোট পেলেন গায়িকা। তার পরে তিনি যা করলেন, সেটিও কম বিস্ময়ের নয়।
শুধু গান নয়, ফিশারের এদিন তার সঙ্গে ট্রাপিজের নানা কৌশলও দেখানোর কথা ছিল। উপর থেকে ঝুলে ছিলেন তিনি। হঠাৎ হাত ফসকে গেল তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে উপর থেকে নীচে পড়লেন তিনি। তবে মাঝপথেই তাঁকে ধরে নিয়েছিলেন, মঞ্চে তাঁর সহকর্মী। ফিশারের দুই বাহু উলটো হয়ে ঝুলে থাকা ওই ব্যক্তির হাতের মধ্যে। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়া হয়ে গিয়েছে। আচমকা হাত ফসকে যাওয়ায় ট্রাপিজের একটা অংশে ধাক্কা খেয়েছে ফিশারের নাক। গল গল করে রক্ত বেরোতে শুরু করেছে। এই দৃশ্য দেখে অনুরাগীরা আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন। কিন্তু এর পরেই ঘটে যায় চমক।
ঝুলন্ত অবস্থাতে গাইতে শুরু করেন ফিশার। সবাইকে চমকে দেন তিনি। দু’কলি গাওয়ার পরে নেমে আসেন তিনি। তখ তিনি রক্তাক্ত। নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। সেই রক্ত লেগেছে গায়েও। ফিশার উপস্থিত অতিথি এবং শ্রোতাদের সামেন দাঁড়িয়ে মাথা নত করে ধন্যবাদ জানান এবং এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এর পরেই ভিতরে চলে যান তিনি। যদিও তখন ঠিক ছিল, একটু পরেই তিনি ফিরে আসবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এদিন আর মঞ্চে ফিরে আসেননি ৩৮ বছরের গায়িকা। উদ্যোক্তারা জানান, এদিনের মতো অনুষ্ঠান বাতিল।
(আরও পড়ুন: রাতে ঘুম আসছে না? যোগাসন দিবস থেকেই শুরু করুন এই যোগগুলি, কমবে সমস্যা)
যদিও অনুষ্ঠান বাতিল হওয়া নিয়ে অসন্তোষ নেই উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে। তাঁদের বক্তব্য, যে অবস্থায় ফিশারকে দেখা গিয়েছে, তাতে আর তাঁর পক্ষে গান গাওয়া সম্ভব হত না। অনেকে বলছেন, ফিশারের যখন হাত ফসকে যায়, যখন একটা ভয়ঙ্কর কিছুর শব্দ আসে। অনেকেরই মনে হয়েছিল, ভয়ঙ্কর কিছু একটা ঘটেছে। কিন্তু সেটা যে এমন মারাত্মক, তা কারও ধারণা ছিল না। অনেকেই ফিশারের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। বলেছেন, এর পরে তিনি আবার যখন মঞ্চে উঠবেন, একই ভাবে ভিড় করে সেখানে হাজির হবেন তাঁরা।