ফোন বা কম্পিউটার হ্যাং হলে, আমরা প্রথমেই কী করি? আমরা সেটা বন্ধ করে ফের চালু করি। অর্থাত্ রিস্টার্ট মারি। এতে ফোন ফের কাজ করতে শুরু করে। ঠিক একইভাবে নিজেকে রিফ্রেশ করতে একই প্রয়োজন রিস্টার্ট করার। কীভাবে? এর একমাত্র উপায় হল মেডিটেশন।
কিন্তু অনেকেই বলেন, এত ব্যস্ততার মাঝে ধ্যানের জন্য সময় দেওয়া অসম্ভব। আবার অনেকের দাবি, তাঁরা এতটাই চঞ্চল যে একটানা বেশিক্ষণ এভাবে বসে থাকতে পারেন না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন খুব বেশি সময় ধরে ধ্যান করলে তবেই যে কাজ হবে, এমনটা কোনও মানে নেই। অল্প সময় নিয়েই ধ্যান করতে শুরু করা যায়। দিনে এক মিনিট। আজ্ঞে হ্যাঁ। রোজ মাত্র এক মিনিট ধ্যান করলেই উপকার পেতে শুরু করবেন। আর ১ সময় যে সবারই হবে, তা বলাই বাহুল্য। ফর্মুলা ওয়ান চালক থেকে নামী পপ গায়ক, সকলেই জীবনের কোলাহল, চাপ থেকে মুক্ত থাকতে ধ্যান করেন।
কীভাবে করবেন?
কোনও শান্ত ঘর বেছে নিন। সেটা সম্ভব না হলে হেডফোন লাগিয়ে নিন। অনলাইনে মেডিটেশনের বিভিন্ন মিউজিক পেয়ে যাবেন। সেটা প্লে করে নিন। এরপর কমফোর্টেবল পজিশনে বসুন। শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে নজর দিন। যতটা সম্ভব ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। এই প্রক্রিয়ায় অন্য কোনও বিষয়ে ভাববেন না।
অনেকে ধ্যানের সময়ে ঈশ্বরের চিন্তা, জপ, মন্ত্র ভাবেন মনে মনে। আবার অনেকে মনে মনে কোনও মোমবাতি বা বিন্দু কল্পনা করে তাতে মন একাগ্র করার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ শুধুমাত্র শ্বাস-প্রশ্বাসটা অনুভব করার চেষ্টায় মন দেন। এভাবেই মনকে আপনার পারিপার্শ্বিক ও দৈনন্দিন সমস্ত ভাবনা থেকে আলাদা করে তাতে মনোনিবেশ করুন। প্রথম প্রথম কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে আপনার অভ্যাস হয়ে যাবে।
ঘরে কোনও জোরে শব্দ করা ঘড়ি রাখবেন না। আর কতক্ষণ হল সেটাও ভাববেন না। পুরোটাই ফোকাস করুন আপনার একাগ্র ভাবনা। এভাবে কয়েকদিন করলেই ফল পেতে শুরু করবেন। ধীরে ধীরে নিজে থেকেই সময় বাড়বে।