হোলির দিন ঘরে বসে থাকতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে পাড়া-পড়শির চাপে বেশিক্ষণ ঘরে থাকা হয় না! অনেকেই আবির বা রঙকে ভয় পান বলে পছন্দ করেন না হোলি। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, হোলি খেলায় বহু উপকারিতা মেলে। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা এই হোলির রঙ খেলা থেকে কেটে যেতে পারে। দেখে নেওয়া যাক হোলি খেলার এই সমস্ত উপকারিতাগুলি।
ক্লান্তি কাটায়
বহুদিনের ক্লান্তি কাটিয়ে দিতে পারে হোলি। একইসঙ্গে হোলির ফলে কেটে যেতে পারে অ্যাংজাইটির সমস্যা। রঙের বিভিন্নতা চোখে দেখলেও কেটে যেতে পারে নানান ধরণের দুর্ভাবনা।
মেজাজ ঠিক করে
যদি মেজাজ খারাপ হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, তাহলে হোলি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মুড সুইংয়ের সমস্যা কাটাতে পারে হোলি খেলা। খেলার সময়ে হাসিখুশি ভাবই মনকে আরও বেশি উজ্জ্বল করে দিতে পারে।
সবার রঙে...
হোলির মাধ্যমে একাকিত্ব যেমন কেটে যায়, তেমনই সকলের সঙ্গে মিলে মিশে থাকার সুযোগও তৈরি হয়। মানুষের সঙ্গে মানুষের কথা বলার সুযোগ তৈরি হয়। মিশতে পারার সমস্ত রসদ থাকে এই রঙ খেলার উৎসবে।
হ্যাপি হরমোনের উত্থান
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোলি খেলা, মিষ্টি খাওয়ার পর্বের মাধ্যমে হ্যাপি হরমোন উস্কানি পায়। ফলে ফলে হোলি যাঁরা খেলেন তাঁদের মন-মেজাজ ভালো থাকে। এতে বাড়ে খিদে। আর খাওয়ার ফলে মন ভালো থাকে।
কালার থেরাপি
প্রতিটি রঙেই থাকে এনার্জির বিভিন্ন ধরণ। আর সেই রঙ বিভিন্নভাবে থেরাপির কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রঙের প্রভাব মানসিককতাকেও পাল্টে দেয়। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে রঙ। যেমন লাল রঙে আসে স্থিরতা, হলুদ রঙে আসে ক্ষমতা, নীলরঙে সংযোগ তৈরি হয়। ফলে বিভিন্ন রঙের থেরাপি বিভিন্নভাবে মানুষকে চাঙ্গা করে।