মাসল পুল একটি সাধারণ সমস্যা। হঠাৎ করে যখন পেশিতে টান পরে বা টিস্যু ছিঁড়ে যায় তখনই মাশল পুলের মতো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাহলে এর থেকে কী বাঁচার উপায় নেই? অবশ্যই আছে! সেটাই আপনাদের জানাব
মাশল পুলের কারণ কী?
শরীরের কোনও মাংসপেশি অনেক্ষণ ধরে ব্যবহার করলে। দীর্ঘক্ষণ ধরে কম্পিউটারে বসে কাজ করলে, একটানা গাড়ি চালালেও এই সমস্যা হয়।
মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার কারণেও মাসল পুল হতে পারে।
হঠাৎ করে ভারি কিছু তুলতে গিয়ে পেশিতে টান তৈরি হয়।
অতিরিক্ত শারীরিক কসরত করেন যাঁরা অর্থাৎ অ্যাথলেটরা মাশল পুলের মতো সমস্যায় পড়েন।
শরীরে জলের ঘাটতি হলে এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্যও এই সমস্যায় পড়তে হয়।
কী দেখে বুঝবেন মাশল পুল হয়েছে?
পেশি যদি টান ধরে, সঙ্গে থাকে হালকা যন্ত্রণা, চিনচিন ভাব, তাহলেই বুঝবেন মাশল পুল হয়েছে।
ভারি জিনিস তুলতে রীতিমতো খেসারত করতে হয়? তাহলে বুঝে নিন মাশল পু্ল জনিত সমস্যা।
মাসল পুল হলে কী করবেন?
মাশল পুল হলে ঘাবড়াবেন না। ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি সমাধান করুন। যেখানে মাশল ফুলের গিয়েছে বরফ লাগান। হাল্কা করে হাত বোলান দেখবেন ভালো লাগছে।
আর কী কী করা যেতে পারে?
যেই জায়গাটি ফুলে গিয়েছে কয়েকদিন সেই স্থানে গরম সেঁক দেওয়া যাবে না
ডাক্তারি ব্যান্ডেজ দিয়ে স্থানটি মুড়িয়ে দিন।
পেশি টান ধরে থাকলে ভারি কাজ কম করুন, কিছুদিন হাঁটাচলা বন্ধ রাখুন ও বিশ্রাম নিন।
অনেক সময় পেশির টান কমে না, তার টানে জ্বর আসে, ব্যথা হয় শরীর ভীষন দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন রোগীকে বাড়িতে না রেখে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই জরুরি। অনেক সময় পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে, অপারেশন করাতে হতে পারে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ক্রিম, জেল, স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। রোগীর ডি-হাইড্রেশনের সমস্যা থাকলে তাঁকে কিশমিশ, স্যালাইন, ডাবের জল দেওয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, মাংসপেশি পুল জনিত সমস্যায় আলট্রসাউন্ড ইমেজিং পরীক্ষা অনেক কার্যকর হয়। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমেও এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।