কথায় বলে, কাজ করে করে দিন আর শেষ হতে চায় না! তবে ২১ জুন কিন্তু বিজ্ঞানসম্মতভাবেই 'দীর্ঘতম দিন'। যদিও উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন, আর দক্ষিণ গোলার্ধে ক্ষুদ্রতম রাত। তবে পঞ্জিকা বলছে, সূর্যের উত্তরায়ণ ২০ জুনই সম্পন্ন হয়েছে।
বিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে, সূর্য এদিন কর্কটক্রান্তির ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ঠিক কর্কট ক্রান্তির মাথাতেই থাকে সূর্য। এই ২১ জুনের পর থেকে উত্তর গোলার্ধে দিন ছোট হয়ে যায়, বাড়তে থাকে রাত। এদিকে ২১ জুনের পর থেকে দক্ষিণ গোলার্ধে রাত বড় হতে থাকে দিন ছোট। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর বিষুব রেখায় অবস্থান করে সূর্য। যে বিন্দুতে সূর্য সেদিন অবস্থান করে তাকে বলে জলবিষুব বিন্দু। এই দিনটিতে দিন ও রাত সমান হয়।
২১ জুনের ঠিক উল্টো ছবি দেখা যায় ২১ ডিসেম্বর। সেদিন সূর্যের দিকে বেশি হেলে থাকে দক্ষিণ মেরু। সেদিন তাই দক্ষিণ গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন আর ক্ষুদ্রতম রাত হয়। আর উত্তর গোলার্ধে হয় দীর্ঘতম রাত ও ক্ষুদ্রতম দিন। ফলে রাত পোহালেই 'বড়-দিন' দেখতে চলেছেন দেশবাসী। ভুঁড়ি কমানোর ডেডলাইন থাকলে এই জিনিসগুলি দিয়ে বানিয়ে নিন রুটি! মিলবে উপকার
ইতিহাসবিদরা বলছেন, ইংল্যান্ডের মানুষ সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে স্টোনগেংকে মনুমেন্টকে ২১ জুনের দিন সময় মাপার জন্য ব্যবহার করতেন। এমনকি এখনও পর্যন্ত এই ইমারতকে দেখার জন্যই শুধু নয়, সূর্যের উত্তরায়ণের সময়কাল দেখার জন্যও মানুষ এখানে ভিড় করেন। ২১ জুনের দিন চিন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় রাতের উৎসব পালিত হয়। আর্কটিকে দেখা যায় মধ্যরাতের সূর্য।