ভুরিভোজ ছাড়া যে কোনও উৎসবই ফিকে হয়ে যায়। ভারতে যে উৎসবই হোক না কেন, সকলের সঙ্গে কোনও না কোনও বিশেষ ধরনের পদ যুক্ত থাকে। যেমন কোনও পুজোর ভোগের জন্য খিচুড়ি, সত্যনারায়ণের পুজো হলে শিন্নি, বিজয়া দশমীতে রসগোল্লা ইত্যাদি। তেমনই মকর সংক্রান্তি এলেই পিঠে-পুলির স্বাদ মনে পড়ে যায়। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি বা পৌষ পার্বণ। মকর সংক্রান্তির দিনে নতুন ফসল কাটা হয়। পঞ্জাবের লোহরি, তামিলনাড়ুর পোঙ্গল এবং অসমের ভোগালি বিহু হল ফসল কাটার উৎসব।
নতুন ফসল, নতুন গুড় দিয়ে নানান পদ রেঁধে উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে। মকর সংক্রান্তির দিনে বাঙালি পরিবারে নানান ধরনের পিঠে-পুলি তৈরি করা হয়। এখানে দুটি পিঠে-পুলি তৈরির পদ্ধতি জানানো হল।
পাটিসাপটা
উপকরণ
চালের গুঁড়ো
ময়দা
সুজি
দুধ
নুন
নারকেল কোড়া
খোয়া ক্ষীর
গুড়
তেল
প্রণালী
প্রথমে প্রয়োজন মতো চালের গুঁড়ো, ময়দা, সুজি, দুধ, নুন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার খেজুরের গুড় ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার ভালোভাবে মিশিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। এই ব্যাটারটি খুব বেশি ঘন বা পাতলা হবে না। এবার একে ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। কড়াই গরম করে তাতে কোড়া নারকেল দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এর পর এতে খোয়া ক্ষীর ও গুড় মেশান। খুব ভালো করে পাক দিতে হবে একে। তবে পাক দিতে দিতে শক্ত করে ফেলবেন না। এবার ফ্রাইং প্যান বা চাটুতে তেল লাগয়ি নিন। তেল গরম হলেই, তাতে গোল করে ব্যাটারটি ছড়িয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে রাখবেন। এবার এই পাটিসাপটার মাঝখানে লম্বা করে নারকেল ও খোয়া ক্ষীরের পুর দিয়ে দিন। দুদিক দিয়ে ভাজ করে পুরটি ঢেকে দিতে হবে। আরও কয়েক মিনিট উলটে-পালটে ভেজে নামিয়ে নিন পাটিসাপটা।
সেদ্ধ পিঠে
পদ্ধতি
চালের গুঁড়ো
কোড়া নারকেল
গুড়
গরম জল
প্রণালী
প্রথমে গরম জল দিয়ে ভালো করে চালের গুঁড়ো মেখে নিতে হবে। এবার একটা কড়াইতে নারকেল আর গুড় মিশিয়ে পুর বানিয়ে নিন। নোনতা পিঠে বানাতে চাইলে নারকেলের পরিবর্তে কপির তরকারি, ডাল ইত্যাদির পুর ব্যবহার করতে পারেন।
এবার চালের গুঁড়ো মাখা থেকে ছোট ছোট করে লেচি কেটে নিন। লুচির মতো গোল বেলে এতে নারকেলের পুর ভরে মুখ বন্ধ করে দিন। একটি বড় পাত্রে জল গরম করে তার ওপর চালুনি বা ছিদ্রযুক্ত থালা বসান। জল ফুটে উঠলে থালার ওপর একটা পাতলা কাপড় বিছিয়ে তাতে পিঠেগুলো সাজিয়ে দিন। ঢাকা দিয়ে ১০ মিনিট পর্যন্ত ফুটতে দিন। পিঠে সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।