মেনিনজাইটিসের সমস্যা বাড়লে সমূহ বিপদ। এমন একটি রোগ, যা দূরারোগ্য না হলেও সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা না নিলে সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। মেনিনজাইটিস অনেককেই আক্রান্ত করতে পারে, তবে সাধারণত এই রোগ শিশুদের দেহে বাসা বাঁধে সহজে।
মেনিনজাইটিস কী?
মেনিনজিস হল মস্তিষ্কের বাইরের আবরণ। সেখানে রয়েছে তিনটি স্তর। স্তরগুলির মাঝে রয়েছে অজস্র সুক্ষ্ম রক্তজালক। এই অংশে কোনও মতে জীবাণু পৌঁছতেই সমস্যা শুরু হয়। শুরু হয় মেনিনজাইটিসের সমস্যা। বিপদের ঝুঁকি বাড়তে থাকে যদি সংক্রমণ মস্তিষ্কের ভিতরের দিকে যায় তাহলে।
মেনিনজাইটিসের উপসর্গ
চিকিৎসক প্রবীণ পাই বলছেন, মেনিনজাইটিসের বড় উপসর্গ হল জ্বর, দুর্বল লাগা, মাথার যন্ত্রণা। এছাড়াও ত্বকে ব়্যাশ, ঘাড়ে যন্ত্রণা, ঘুমিয়ে পড়ার ইচ্ছা। বমিভাব ও মাথাঘোরা হল এই রোগের অন্যতম উপসর্গ। উল্লেখ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাঁদের দেহে অনেকটাই কম,তাঁদের এই সমস্যা তৈরি হয়। এই রোগের প্রকোপ বেড়ে গেলে অন্যতম উপসর্গ, ঝিমিয়ে পড়া বা খিঁচুনি হওয়া। রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারেন। আরও পড়ুন-মশার ভনভন শব্দে, কামড়ে রাতে ঘুম আসছে না? বাড়িতে শিগগির লাগান এই গাছগুলি
কীভাবে সারিয়ে তোলা যায়?
-মেনিনজাইটিস শরীরে বেঁধেছে কি না, কার সন্দেহ দানা বঁধতে প্রথমে এমআরআই স্ক্যানের পথ নেওয়া হয়। সিএসএফ বিশ্লেষণের আগেই শুরু হয় অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল খাওয়া।
-সিএসএফ কালচার থেকে আসল কারণ জেনে গেলেই চিকিৎসা শুরু হয়। কোন কারণে মেনিনজাইটাস হয়েছে, তার নিরিখে চলে চিকিৎসা।
-টিউবার কিউলার মেনিনজাইটিসের ক্ষেত্রে অ্যান্টি টিবি মেডিসিন আর স্টেরয়েড চালু করা হয় অনেক সময়।
-রোগীকে মনিটরিংয়ে রাখতে হবে। রোগীর সমস্যা বেড়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ঝুঁকি কম নেওয়া শ্রেয়।
-হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও রোগীকে ক্রমাগত নজরে রাখা প্রয়োজন।